আমাদের আগের এক প্রতিবেদনে আমরা জেনেছিলাম যে কী কী থাকলে আমরা উইন্ডোজ ১১ আমাদের কম্পিউটারে ব্যবহার করতে পারব। সেখানে শেষের দিকে একটি বিষয় উল্লেখ করেছিলাম আর সেটা হলো টিপিএম চিপ। তবে চলুন টিপিএম চিপ কী, এটা কেন দরকার আর এটা কিভাবে চালু করবেন।
টিপিএম এর পূর্ণরূপ হলো ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউল। যার কাজ হলো আমাদের সিস্টেমের নিরাপত্তা বজায় রাখা। আমরা অনেকেই হয়ত জানি না যে নিরাপত্তা ২ স্তরে দেওয়া থাকে। প্রথম স্তর হলো সফটওয়্যার ভিত্তিক স্তর যা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করা বেশ সহজ আর আরেক স্তর হলো হার্ডওয়্যার স্তর যা ভেঙ্গে প্রবেশ করা প্রায় অসম্ভব। আর এই টিপি এম চিপ এই হার্ডওয়্যার লেভেলের নিরাপত্তাই প্রদান করবে।
যখন আপনার সিস্টেমে টিপিএম চিপ এবং আপনি যেই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন সেটা যদি এই টিপিএম চিপ সমর্থন করে তাহলে বেশ ভালভাবেই আপনি নিরাপত্তার সুজোগ নিতে পারবেন। কেননা আগেই বলেছি যে টিপিএম একটি হার্ডওয়্যার লেভেলের সিকিউরিটি মডিউল। যখনই আপনি কোন পাসওয়ার্ড এন্টার করেন তখন সেটা আপনার সিস্টেম প্রথমে এনক্রিপ্ট করে তারপরে সেটা সংরক্ষণ করে। আর আপনি যখন আবার কোন পাসওয়ার্ড স্টোর করবেন তখন সেটাও আবার সেই মডিউলেই সংরক্ষিত হবে। আর হ্যাকার চাইলেই আপনার পাসওয়ার্ড সেখান থেকে বের করতে পারবে না। তবে তার মানে কিন্তু এই না যে এর ফলে কোন ভাবেই আপনার পাসওয়ার্ড বের করা যাবে না। তবে কিভাবে যাবে আর কিভাবে যাবে না সেই দিকে আর না যায়।
এবার চলুন জেনে নেই কিভাবে এই টিপিএম চিপ চালু করবেন? আগে আপনার জানতে হবে যে আসলেই আপনার এই চিপ আছে কিনা। বেশ কয়েক বছর হলে সকল ল্যাপটপ ও ডেস্কটপের মাদারবোর্ডেই এটা লাগানো থাকে। আবার সর্বশেষ এএমডি এর রাইজেন সিরিজের প্রোসেসরেও দেয়া থাকছে এই চিপ। তবে এই চিপ যদি চালু করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার বায়োস অপশানে গিয়ে Advanced বা Security অপশানে গিয়ে এই চিপ/সুবিধা অন করে দিন। যদি এই অপশান না থাকে তাহলে আপনার কম্পিউটারের মাদারবোর্ড পাল্টাতে হবে। আপনার কম্পিউটার আসলেই অনেক পুরাতন হয়ে গেছে।
তবে এই ছিল টিপিএম সম্পর্কে বিস্তারিত। মাইক্রোসফট এখন হয়ত একটু নিরাপত্তা ও গ্রাহকদের দিকে তাকাচ্ছে তাই তারা উইন্ডোজ ১১ এর জন্য এই চিপ আবশ্যিক করেছে। তবে দেখা যাক আসলেই কতটা নিরাপত্তা দেয় এই নতুন উইন্ডোজ ১১।