৫০ লাখ প্রাইভেট কার বিক্রি করে নতুন মাইল ফলক স্পর্শ করল ভারতের মারুতি। দেশটির গ্রামীণ বাজারে এই বিপুল সংখ্যক গাড়ি বিক্রি করা হয়েছে।
সম্প্রতি কোম্পানির এই সাফল্যের কথা জানিয়েছে, মারুতির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব। তিনি জানান, গাড়ি বিক্রিতে গ্রামীণ ভারতে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে মারুতি। ক্রেতাদের বিশ্বাসের ওপর ভর করে আজ গ্রামীণ ভারতে ৫০ লক্ষের বেশি গাড়ি বিক্রি করতে পেরেছেন তারা।
পরিসংখ্যান বলছে, রুরাল ইন্ডিয়ায় ১৭০০ কাস্টমাইজড আউটলেট রয়েছে মারুতির। কোম্পানির ৪০শতাংশ সেল এখন গ্রামীণ ভারত থেকে আসে।
শশাঙ্ক শ্রীবাস্তব বলেন, কোম্পানির ব্যবসায় বরাবরই একটা বিশেষ জায়গা রয়েছে গ্রামের গাড়ি বাজার। বহু বছর ধরে গ্রামীণ ক্রেতাদের প্রয়োজন বোঝার চেষ্টা করেছি আমরা। পরবর্তীকালে সেই অনুযায়ী ক্রেতাদের প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করেছি। একের পর এক প্রোডাক্ট এনে তাঁদের চাহিদা পূরণ করা হয়েছে।এখন তারই ফল পাচ্ছি আমরা।
মারুতি জানিয়েছে , গ্রামের গাড়ি বাজার ধরতে ৪০০০ সার্ভিস সেন্টার খোলা হয় রুরাল ইন্ডিয়ায়। এছাড়াও ‘সার্ভিস অন হুইলস’-এর ব্যবস্থা করে কোম্পানি। গ্রামের ক্রেতাদের আফটার সেলস পরিষেবা দিতে ২৩৫ ‘সার্ভিস অন হুইলস’ শুরু হয়।
কোম্পানির নতুন তথ্য বলছে, চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুনে ৩,৫৩,৬১৪টি গাড়ি বিক্রি করেছে মারুতি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কোম্পানির মোট বিক্রির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪,৫৭,৮৬১।
করোনাকালে এই নম্বর এলেও ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে অনেক বেশি সেল নম্বর দিয়েছিল কোম্পানি। গত অর্থবর্ষে কোম্পানির মোট গাড়ি বিক্রির সংখ্যা ছিল ১৫,৬৩,২৯৭।
ভারতীয় ক্রেতার বিশ্বাস অর্জন করেছে মারুতি। অন্যান্য কারমেকার বাজারে থাকলেও মাইলেজে সবাইকে পিছনে ফেলে দিত কোম্পানি। সঙ্গে ছিল আফটার সেলস সার্ভিস স্টেশনের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো । বর্তমানেও সেই ধারা বজায় রেখেছে কোম্পানি। ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভারতে এখনও এক নম্বরে মারুতি।