আগামী মাসেই ‘লাইফ-প্রুফ’ ফোন আনছে নোকিয়া। এ বছরের শুরুতে ফোন ব্যবসা নতুন করে সাজানোর ঘোষণা দিয়েছিল নোকিয়ার মালিক প্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবাল। তারই ধারবাহিকতায় নতুন ফোন এক্সআর২০ আনার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নোকিয়ার দাবি, এটি ‘লাইফ-প্রুফ’ সিরিজের প্রথম ফোন।
টুইটারে ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে নতুন ফোনটি কতোটা টেকসই তা-ও দেখিয়েছে নোকিয়া। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট গিজমোডোর প্রতিবেদন বলছে, ২৪ অগাস্ট যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসবে নোকিয়ার নতুন ‘লাইফ-প্রুফ’ ফোনটি, এর দাম ধরা হয়েছে সাড়ে পাঁচশ’ ডলার। এখন পর্যন্ত নোকিয়ার আপডেটেড পোর্টফোলিওর সবচেয়ে দামি ফোন এটি।
টেকসই ফোন তৈরির খেতাব নোকিয়া বহু আগেই ফিচার ফোন দিয়ে অর্জন করে নিয়েছে। ব্যবহারকারীরা এক সময় টেকসই ও মজবুত ফোন বলতে নোকিয়ার ৩৩১০, ১১০০ এর মতো মডেলগুলোকে প্রাধান্য দিতেন। এখনও ইন্টারনেট জগতের মিম কালচারে বড় মাপের একটি স্থান দখল করে রেখেছে নোকিয়া ৩৩১০ ফোন।
নোকিয়া এক্সআর২০ –এ পর্দা হিসেবে দেখা মিলবে ‘কর্নিং গরিলা গ্লাস ভিকটাস’ এর। বলা হচ্ছে, গতানুগতিক স্মার্টফোনের পর্দার চেয়ে একটি চার গুণ বেশি স্ক্র্যাচ-নিরোধক। অন্যদিকে, ছয় ফিট উচ্চতা থেকে পড়লেও ফোনটির বডি তা সামলে নিতে পারবে (কোনো কেস ছাড়াই)।
এইচএমডি এর তথ্য অনুসারে, সর্বোচ্চ একশ’ ৩১ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং সর্বনিম্ন মাইনাস চার ডিগ্রি ফারেনহাইট বা মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ফোনটি কাজ করতে পারে বলে পরীক্ষায় উঠে এসেছে। এ ছাড়াও এইচএমডি জানিয়েছে, ফোনটি পাঁচ ফিট পানির নিচে এক ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করে।
এক্সআর২০ ফোনে দেখা মিলবে ৬.৬৭ ইঞ্চি আকারের ২৪০০ x ১০৮০ ডিসপ্লে। চিপ হিসেবে এতে থাকবে স্ন্যাপড্রাগন ৪৮০ ৫জি। দেখা মিলবে ছয় গিগাবাইট র্যামের এবং ১২৮ গিগাবাইট স্টোরেজের। ফোনটিতে থাকবে বিল্ট-ইন মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট।
ক্যামেরা হিসেবে ৪৮ মেগাপিক্সেলের মূল ক্যামেরা থাকবে এক্সআর২০-এ, থাকবে ১৮ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা এবং পেছনে থাকবে ১৩ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা। নোকিয়ার অজো স্পেশাল অডিও এবং নয়েজ ক্যান্মেলেশন প্রযুক্তির সমর্থনের দেখাও মিলবে নতুন এই ফোনটিতে।
চার্জিংয়ের জন্য ফোনে থাকবে সি পোর্ট, আর তারযুক্ত অডিওর জন্য থাকবে ৩.৫ মিলিমিটার জ্যাক। ব্যাটারি হিসেবে থাকবে চার হাজার ছয়শ’ ৩০ মিলি অ্যাম্প আওয়ার সক্ষমতার ব্যাটারি। এ ছাড়াও ফোনটিতে পাওয়া যাবে ১৫ ওয়াট ‘কি’ তারবিহীন চার্জিং সুবিধা।
এক্সআর২০ কেনার পর টানা চার বছর প্রতি মাসে নিরাপত্তা প্যাচ পাবেন ক্রেতারা, অন্যদিকে তিন বছর পর্যন্ত দেওয়া হবে সফটওয়্যার আপগ্রেড। আল্ট্রা ব্লু এবং গ্র্যানাইট গ্রে – দুটি রংয়ে আসবে ফোনটি।