বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির দেশ চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যযুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আবারো শুল্কারোপের পর মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক বৃদ্ধি করেছে বেইজিং। চীনের এ শুল্কারোপের প্রভাবে মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপলের আইফোন উৎপাদন খরচ কমপক্ষে ৩ শতাংশ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আইফোনের দামও বাড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ওয়েডবুশের বিশ্লেষক ড্যান আইভসের বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্য উদ্ধৃত করে ফরচুনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চীনে নির্মিত ব্যাটারি ও অন্যান্য উপকরণে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে আইফোনের উৎপাদন ব্যয় ২ থেকে ৩ শতাংশ বেড়ে যাবে।’
আইফোন বিক্রি থেকে আগের মতো মুনাফা ধরে রাখতে হলে অ্যাপলকে ডিভাইসটির দাম বৃদ্ধি করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আইফোন এক্সএসের দাম ৯৯৯ ডলার। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির ফলে এর মূল্য বেড়ে হবে ১ হাজার ২৯ ডলার।
ড্যান আইভস বলেন, চীনের আরো ৩২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্কারোপের ছক কষছে ট্রাম্প প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত যদি যুক্তরাষ্ট্র পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে, তাহলে অ্যাপলের আইফোন তৈরির খরচ অনেক বেড়ে যাবে। প্রতিটি আইফোন তৈরির পেছনে অতিরিক্ত ১২০ ডলার ব্যয় হবে অ্যাপলের। যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব বিশ্লেষণ করে এ হিসাব দিয়েছেন আইভস।
১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের চীনা পণ্য আমদানিতে নতুন করে শুল্কারোপের ঘোষণা দেন। এ পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্যযুদ্ধে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত ব্যাটারি, কফি ও অন্যান্য মিলিয়ে মোট ৬ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে চীন। আগামী ১ জুন থেকে এ শুল্ক কার্যকর হবে। চীনের এ পাল্টা শুল্ক আরোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে অ্যাপল, বোয়িং ও ক্যাটারপিলারের মতো কোম্পানিগুলো।