চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনের বিক্রি ২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে গেছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ—এ তিন মাসে বিশ্বজুড়ে ৩৭ কোটি ৩০ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অনুপস্থিত থেকেও বিশ্বজুড়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতার স্থান দখল করে রেখেছে চীনা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছে হুয়াওয়ে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক বাজারে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে হুয়াওয়ের।
গার্টনারের তথ্য অনুযায়ী, বছরের প্রথম তিন মাসে স্মার্টফোন বাজারের ১৯ দশমিক ২ শতাংশ দখলে রেখেছে স্যামসাং। এ সময় ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে হুয়াওয়ের। এ সময় ৫ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
গার্টনারের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক অংশুল গুপ্ত বলেন, প্রিমিয়াম স্মার্টফোনগুলোর চাহিদা কম। সে তুলনায় বেসিক স্মার্টফোনগুলোর বিক্রি বেড়েছে। স্যামসাং ও অ্যাপলের ওপর এতে প্রভাব পড়েছে।
স্মার্টফোনের উদ্ভাবন কমায় ও দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে নতুন ফোন হালনাগাদ করছেন না।
স্মার্টফোনের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে ১৫ দশমিক ৮ ও ৩ দশমিক ২ শতাংশ বিক্রি কমেছে। চীনের বাজারে ২৯ দশমিক ২ শতাংশ নিয়ে স্মার্টফোন বাজারের দুই নম্বর স্থান ধরে রেখেছে হুয়াওয়ে।
অংশুল বলেন, স্মার্টফোনের বাজারে গ্যালাক্সি এস১০ এনে ভালো সাড়া পেয়েছে স্যামসাং। এ ছাড়া মাঝারি ও এন্ট্রি লেভেলের স্মার্টফোনের পোর্টফোলিও বাড়িয়েছে স্যামসাং। তাদের ‘এ’, ‘জে’ ও ‘এম’ সিরিজ ভালো প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। তবে চীনা স্মার্টফোন নির্মাতাদের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে স্যামসাংকে।
বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৪ কোটি ৪৬ লাখ ইউনিট আইফোন বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ কম। আইফোনের দাম কমিয়ে চাহিদা বাড়ানো সম্ভব হলেও হুয়াওয়েকে ধরতে পারেনি অ্যাপল।
বিশ্লেষক অংশুল বলেন, আইফোন সহজে পরিবর্তন করেন না ক্রেতারা। পুরোনো আইফোন বদলে নতুন আইফোন নেওয়ার যৌক্তিকতা খোঁজেন অনেক গ্রাহক।