সাফল্যের সাথে একের পর এক মাইলফলক অতিক্রম করছে দেশি পণ্যের নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই)। নতুন নারী উদ্যোক্তাদের ভার্চ্যুয়াল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩ হাজার মেম্বারের গ্রুপ থেকে মাত্র ১২ মাসে ৫ লাখ সদস্যের শক্তিশালী গ্রুপ হলো উই।
সারাদেশের ই-কমার্স নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে নিয়ে ২৫ অক্টোবর ২০১৭ প্রতিষ্ঠা হয়ে ২৮ আগাষ্ট ২০১৯ থেকে নতুন উদ্যোমে এক্টিভ হয় উই। ই-কমার্সের পড়াশোনার দিয়ে এক্টিভ হলেও ধাপেধাপে দেশি পণ্যের দূর্গে পরিণত হয় উই। বাড়তে থাকে দেশি পণ্যের ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাগম। সম্প্রতি ৫ লাখ মেম্বারের মাইলফলক অতিক্রম করলো উই।
উইতে দেশী পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিক্রি, ই-কমার্স গাইডলাইন, লেখাপড়া সহ ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট সকল প্রকার এক্টিভিটি করা হয়। জেলা উপজেলা পর্যায়ের ই-কমার্স নারী উদ্যোক্তাদের তোলে ধরার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করছে উই। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছে উই ফোরাম। যার ফলে দ্রুত গতিতে বড় ও গ্রহণযোগ্য হচ্ছে। গ্রুপ মেম্বাররাই সারাদেশের পণ্য কেনাবেচা করে। এমনকি প্রবাসীরা আস্থার সাথে কেনাকাটা করছে উইতে।
ই-ক্যাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজিব আহমেদ বলেন, উই গ্রুপের হাল ধরি আমি ২০১৯ এর ১৮ অগাস্ট তারিখে। তখন মেম্বার ছিল ৩৩০০ এর মত। ১২ মাসে ৫ লাখ মেম্বার হয়েছে দেখে আমি আনন্দিত। করোনার কারণে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা আসলেও ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন ঘরে বসেও অনেক কিছুই করা সম্ভব এবং উইয়ের নারী উদ্যোক্তারা সেটা করে দেখিয়েছেন। এটা উইয়ের জন্যে যেমন বিশাল সাফল্য তেমনি দেশের নারী যারা ঘরে কাজ করছেন তাদের জন্যেও অনেক বড় একটা অনুপ্রেরণার বিষয়। ইচ্ছা আর চেষ্টা থাকলে কোন বাঁধাই আসলে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তবে বেশি আনন্দিত এজন্য যে দেশী পণ্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির ভিত তৈরি হয়েছে এই ১২ মাসে। সারা দেশের সব জেলা থেকে দেশী পণ্যের ই-কমার্স উদ্যোক্তারা জড় হয়েছে এই প্লাটফর্মে।
রাজিব আহমেদ বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি স্টার্টআপ রয়েছে উই গ্রুপে এবং তাদের সকলের রেভিনিউ রয়েছে। আমরা বিলুপ্ত পণ্যগুলো বাঁচিয়ে রাখার জন্য চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, দেশের নারী উদ্যোক্তাদের নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্ম ওমেন এন্ড ই-কমার্স (উই) ফোরামের নারী সদস্যদের বিশ্বখ্যাত ‘এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ মাস্টারক্লাস (Entrepreneurship Masterclass 1.0) ’ সিরিজের আওতায় প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা করছে সরকার। এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ মাস্টারক্লাস সিরিজে আগামী ১২ মাসের প্রতি মাসে দুটি করে সেশনে বিদেশী এবং স্থানীয় উদ্যোক্তারা প্রশিক্ষণ দেবেন। বিদেশীদের মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডের প্রশিক্ষকরা রয়েছেন।
বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের সাফল্য অর্জনের জন্য উই এক সম্ভাবনার দ্বার হিসেবে কাজ করছে। এ বিষয়ে রাজীব আহমেদ বলেন, ই-কমার্সে দেশি পণ্যের প্ল্যাটফর্মের খুব দরকার ছিল। উই সেই শূন্যতা পূরণ করতে পেরেছে। এর ফলে অনলাইনে দেশি পণ্যের প্রতি আস্থা ও বিক্রি অনেক বাড়বে আগামী এক বছরের মধ্যে।