ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আওয়ার শেরপুর ডটকম আয়োজন করেছিল ‘কাস্টমার মিট অ্যান্ড গ্রিট ইন মিরপুর’।
গত মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) মিরপুরের একটি আদিবাসী রেস্টুরেন্টে আওয়ার শেরপুর এর কাস্টমারদের নিয়ে “মিট এন্ড গ্রিট” প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয় ।
জেলা ব্র্যান্ডিং ও স্থানীয় উৎপাদিত পণ্য নিয়ে কাজ করে জেলা ওয়েবসাইট আওয়ার শেরপুর। নিজেদের ক্রেতাদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি, তাদের মতামত ও পরার্মশ নেওয়ার জন্যে আয়োজন করা হয় মিট এন্ড গ্রিট প্রোগ্রাম।
আওয়ার শেরপুর এর প্রতিষ্ঠাতা মোঃ দেলোয়ার হোসেনের স্বগত বক্তব্যে শুরু হয় প্রোগ্রাম। পরে ক্রেতারা আওয়ার শেরপুর এ কেনাকাটার অভিজ্ঞতা, মতামত ও বিভিন্ন পরার্মশ দেয় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের। দিনব্যাপী চলে চলে এ প্রোগ্রাম। ক্রেতাদের মুগ্ধ করতে দেশীয় সংস্কৃতির খাবার ও আদিবাসী গানের আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উই (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম) এর প্রেসিডেন্ট ও আওয়ার শেরপুর এর উপদেষ্টা নাসিমা আক্তার নিশা, বিশেষ অতিথি ছিলেন রাইজিংবিডি ডটকমের ক্যাম্পাস ও উদ্যোক্তা পাতার সম্পাদক হাকিম মাহি, টেকজুম টিভির স্টাফ রিপোর্টার মিরাজুল ইসলাম জীবন, উইর ওয়ার্কিং কমিটির ডিরেক্টর সামিয়া ফারাহ ও ইমরান হোসেন, সহ শতাধিক উদ্যোক্তা ও ক্রেতা ।
মিটআপের আয়োজক ও উদ্যোক্তা দেলোয়ার বলেন, ‘কাস্টমার আমাদের চালিকা শক্তি। এক ছাদের নিচে তাদের কথাগুলো শুনতে ও তাদের সম্মান জানাতে ‘কাস্টমার মিট অ্যান্ড গ্রিট’ এর আয়োজন। মূলত কাস্টমারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি, আমাদের সঙ্গে কেনাকাটার অভিজ্ঞতা ও তাদের পরামর্শগুলো জানার জন্য আয়োজন করেছি মিট অ্যান্ড গ্রিট। এটি আমাদের নতুন অভিজ্ঞতা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, ‘এমন কাস্টমার মিটআপ আমাদের জন্য অনেক প্রয়োজন। এখানে আসতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। এমন উদ্যোগে কাস্টমারের সঙ্গে বিক্রেতার সম্পর্ক খুব ভালো হবে বলে আমি মনে করি।’
ক্রেতা ইফ্ফাত শারমিন বলেন, কাস্টমার মিট এন্ড গ্রিট! এই কনসেপ্ট যতটা না শুনতে ভালো লাগছিলো তারচাইতেও ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে আজকে স্ব শরীরে উপস্থিত থেকে। দেলোয়ার ভাইয়ের স্টার্টআপ উদ্যোগ আওয়ার শেরপুর থেকেই প্রথম জানতে পারি তুলশী মালা সম্পর্কে। প্রথম রান্নায় মনে হয়েছিল চালটা সম্পূর্ণ ক্যামিকেল মুক্ত। বর্তমানে তুলশী মালা চাল আমাদের নিত্য দিনের সাথী।
ক্রেতা সুলতানা দিপু বলেন, কাস্টমার আর সেলারের যে এতো সুন্দর কোনো মিটাপ হতে পারে আজকে না গেলে হয়তো জানতামই না। সব চেনা মুখ গুলো একসাথে। তার উপর হেবাং এর কথা কি বলবো।খুব সুন্দর একটা জায়গা। এমন মিটাপ প্রতিদিন হোক ।
কাস্টমার মিটআপের উপকারিতার কথা বলতে গিয়ে ই-ক্যাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা ও উইর উপদেষ্টা রাজিব আহমেদ বলেছেন, ‘কাস্টমার মিটআপের চিন্তা করেছি কারণ, ক্রেতারা যারা উইতে পুরনো, তারা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করছেন। উই এখন ১০ লাখ সদস্যের গ্রুপ। আগের মতো ছোট জায়গা নয়। কাস্টমার মিটআপে এভাবে পুরনোরা নিয়মিত একে-অন্যের সাঙ্গে দেখা করছেন আবার সেই সঙ্গে একে-অন্যের কাস্টমার হচ্ছেন। এর সুফল অনেক।’
উল্লেখ্য, আওয়ার শেরপুর উক্ত প্রোগ্রামে ৩ টি প্রোডাক্ট প্যাকেজ ঘোষণা করায় ১৯০০০ হাজার টাকার অর্ডার আসে উপস্থিত ক্রেতাদের থেকে।