আমি আর্টসের ছাত্রী। তাই ইতিহাস আমাকে সবসময় বেশ আকর্ষন করে।আমার ধারন কোন বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ জানতে হলে আগে তার ইতিহাস জানা প্রয়োজন। তাহলে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের পার্থক্যটা বোঝা সহজ হয়।
বাটিকের শুরুটা কোথা থেকে তার সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারনা করা হয় এই প্রক্রিয়াটি শুরু ইন্দোনেশিয়ার জাভা থেকে। মোম, তুলি এবং রং এর মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতি আর বিভিন্ন দেশের নিদর্শন থেকে প্রভাবিত হয়ে পথ চলা শুরু বাটিক শিল্পের। আর তাই ২০০৯ সালে ইউনেস্কো ইন্দোনেশিয়ান বাটিককে Masterpiece of oral and intangible Heritage of Humanity হিসেবে মনোনীত করে।
“বাটিক” শব্দটি জাভানিজ শব্দ আম্বা(Amba) যার অর্থ “লিখতে” এবং তিতিক যার অর্থ “ডট” থেকে এসেছে। বাটিকের প্রথম বানান ছিলো Battik.
কুমিল্লার কমলপুর গ্রাম থেকে দেশীয় বাটিকের যাত্রা শুরুঃ
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম কমলপুর। যাতায়াত ব্যবস্থা তেমন ভালো না। সাধারণত গ্রাম বলতে যা বোঝায় ঠিক তেমনিই। আগের সেই জৌলুশ না থাকলেও লোকের কাছে কমলপুর গ্রাম মানেই “বাটিক পাড়া”।
১৯৭৫ সালে লাল মিয়া কলকাতা এবং ত্রিপুরা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসেন বাটিকের। তারপর নিজ গ্রামে শুরু করেন। তিনি এখন কমলপুর গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। বয়সের ভারে তেমন চলাফেরা করতে না পারলেও নিজ কারখানার সামনে বসে থাকেন।
আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিলো নভেম্বরের ২০ তারিখ তার সাথে হঠাৎ দেখা করার। যার হাত ধরে আমাদের দেশে আগমন তার কাছ থেকে জানার আছে অনেক কিছু। খুব অল্প সময় নিয়ে গিয়েছিলাম। ইনশাআল্লাহ আশা করি তার কাছ থেকে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো বাটিক ইতিহাস নিয়ে।