ইফফাত শারমিন দেশীয় পণ্যের শুভাকাঙ্ক্ষী ও ব্যবহারকারী। গতবছর (২০২০) ছিল তার জন্য দেশি পণ্যের কেনাটাকাটার বছর। সাজ পোশাক থেকে শুরু করে খাদ্য সহ সবকিছুই তিনি কেনাকাটা করেছেন অনলাইনে। শুধু কেনাকাটায় নয় প্রতিটা পণ্য ব্যবহারের পর নিজ অভিজ্ঞতা ও অনুভূতীও প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে ও নিজের ব্লগে। তার মতে রিভিউ দেওয়ার ফলে দেশি পণ্যের প্রচার ও ব্যবহার বাড়ে।
মিরপুর কাজীপাড়ায় অবস্থিত হেবাং রেস্টুরেন্টে ইফফাত শারমিনের সাথে কথা বলে জানা যায়, লকডাউনের সময় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মার্কেটে যাওয়ার পরিবর্তে অনলাইনে কেনাকাটা কে প্রাধান্য দিয়েছেন। তার মতে, মার্কেটে অধিকাংশ ফ্যামিলি পণ্যের কেনাকাটায় যেতে হয় আলাদা আলাদা দোকানে।করোনায় জনসমাগম এড়াতে ফেসবুকে বিভিন্ন উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানে অর্ডার দিয়ে ঘরে বসে পেয়েছেন প্রয়োজনীয় সকল পণ্য।
দেশি পণ্য উপহার দেওয়ার ব্যপারে জানতে চাইলে ইফফাত শারমিন বলেন, বিদেশি ব্র্যান্ডের পরিবর্তে দেশি পণ্য তথা তুলশীমালা চাল, মন্ডা, ঘি, চাতা, শাল, শাড়ি আত্মীয়দের উপহার দিয়েছেন। ব্যবহার করে তারা অবাক ও মুগ্ধ হয়েছে। অভিজ্ঞতা শেয়ার করে শারমিন বলেন, আমার খালা বাসমতী চাল খেয়ে অভ্যাস্ত। উপহার পাওয়া তুলশীমালা চাল খেয়ে অবাক হয়েছেন তিনি। খালার মতে ”দেশে এতো ভালো চাল হয় এবং ফেসবুকে অর্ডার দিয়ে বাসায় পাওয়া যায়, তা যেন রুপকথার গল্পের মতো”। শুধু খালা নয় দেশি পণ্যের কোয়ালিটি এবং ফেসবুকে অর্ডার করে ঘরে বসে ডেলিভারি পাওয়া আত্মীয়দের কাছে ছিল নতুন কিছু।
গত এক বছরে প্রায় ৮০ রকমের দেশি পণ্য কেনাকাটা করেছেন ইফফাত শারমিন। বার বার কেনাকাটার তালিকায় ছিল তুলশীমালা চাল, চাপাতা, দই, মন্ডা, শাড়ি ইত্যাদি।দেশি পণ্যের কেনাকাটায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে শারমিন বলেন, আমি যেহেতু উইমেন্ড এন্ড ই-কমার্স ফোমার (উই) এর বেশ কিছু ক্রেতা চিনি তাই শুধু তাদের থেকে কেনাকাটা করেছি। এরফলে পণ্যের কোয়ালিটি বা অগ্রীম বিল পরিশোধ করা নিয়ে কোন ভয় ছিল না এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও নেই।
ইফফাত শারমিন আরও বলেন, বিদেশি পণ্যের পেজ গুলোর তুলনায় দেশি পণ্যের পেজ বা উদ্যোক্তারা অনেক বেশি আন্তরিক। গত ৭ বছরে অনলাইনে কেনাকাটা করলেও কোন উদ্যোক্তা থেকে আন্তরিকতা পাইনি কিন্তু গত এক বছরে যেসব দেশি পণ্যের উদ্যোক্তা থেকেই কেনাকাটা করেছি সবাইর থেকে আন্তরিকতা এবং কাস্টমার খাতির পেয়েছি।তাই একই পেজ বা উদ্যোক্তার থেকে বার বার কেনাকাটা করেছি।