প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে সাথে দেশে শুরু হয় ই-কমার্স ব্যবসা। প্রথম দিকে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন, মানুষকে অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত করাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। এটি মোকাবেলা করে বিগত কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অনলাইনে কেনাকাটা। তবে করোনাভাইরাস মহামারি ই-কমার্স খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
রাজধানীসহ বড় শহরগুলোতে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষ করোনাকালে ই-কমার্সে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। ই-কমার্সের মাধ্যমে খুব সহজে একজন ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা তার পণ্য সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারছেন।
পাবনা ঘি এর প্রচারে ই-কমার্স ব্যবসা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া) বড় ভূমিকা পালন করেছে। টিনএজার থেকে শুরু করে বয়স্করা এখন সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে প্রতিনিয়ত বিচরণ করেন। তাই এসব সাইটের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার কাঙ্খিত ক্রেতা পেতে পারেন।
নকলের ভিড়ে আসল ঘি চেনা কঠিন! ঘির নামে কী যে খাচ্ছি আমরা, তার আন্দাজ করাও কঠিন। ঘিয়ের নামে খাচ্ছি ক্ষতিকর রাসায়নিক। ফলে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। জেনে নিন আসল ঘি চেনার সহজ উপায়।
ঘিয়ের একাধিক গুণ। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে শুরু করে পাচন শক্তি বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘি শরীরের অনেক উপকার করে।
পাবনার আসল ঘি চিনবেন কী করে?
কয়েকটা সহজ উপায়ে চেনা যায় আসল ঘি। অনেক সময় রাসায়নিক মেশানো হয় ঘিতে। আবার অসাধু ব্যবসায়ীরা আলু মিশিয়ে ঘিয়ের ওজন বাড়িয়ে দেয়।
এক চামচ ঘি হাতের তালুতে ফেলুন। তার পর সেই ঘি দুই হাতে ঘষে নিন। যদি দেখেন, দানার মতো কিছু ঘঁষা খাচ্ছে, তা হলে বুঝবেন ঘি আসল নয়। এছাড়া ১৫ মিনিট পর যদি হাত থেকে ঘিয়ের গন্ধ উবে যায়, তা হলেও বুঝবেন ঘি নকল।
একটি পাত্রে এক চামচ ঘি ঢালুন। তার পর তাতে কিছুটা চিনি ও হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড মিশিয়ে দিন। ভাল করে মেশান। ঘিয়ের রঙ বদলে লাল হলে বুঝবেন রাসায়নিক মেশানো হয়েছে। এক চামচ ঘিতে আয়োডিন ফেলেও দেখতে পারেন। ঘিয়ের রং নীল হলে বুঝবেন নকল।
যেভাবে চিনবেন ভেজাল ঘি
বিশুদ্ধ ঘি বা মাখনে ভেজাল হিসেবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ডালডা। এক চামচ ঘি বা মাখন গলিয়ে একটি স্বচ্ছ কাঁচের বয়াম বা বোতলে রাখুন। এতে একই পরিমাণ মিউরিঅ্যাটিক অ্যাসিড ও সামান্য চিনি মেশান।
এরপর এর মুখ বন্ধ করে খুব জোরে জোরে ঝাঁকান। কিছুক্ষণ ঝাঁকানোর পর পাত্রটি স্থির অবস্থায় রেখে দিন। কিছুক্ষণ পর এর নিচে যদি লাল রঙের আস্তরণ পড়ে, তাহলে বুঝবেন এতে ভেজাল মেশানো রয়েছে।
যদি ঘি নিয়ে আপনার সন্দেহ থাকে তাহলে পুরোটা ঘি একটি পাত্রে ঢেলে চুলায় জ্বাল দিন। প্রথমে চুলার আঁচ কমিয়ে জ্বাল দিন।
তারপর আঁচ বাড়িয়ে দিন। মিনিট দুয়েক জ্বাল দিন। তারপর হালকা ঠান্ডা করে কাঁচের জারে রাখুন।
ঠান্ডা হলে যদি দেখেন পাত্রের নিচের দিকে সাদা জমাট বেঁধে থাকে এবং উপর দিকে তেল উঠে থাকে তার মানে বুঝতে হবে এটা ভেজাল।
আর যদি জ্বাল দেয়ার পর কিছু আলাদা না হয়ে সবটাই মিশে থাকে তাহলে এটা খাঁটি।
লেখক : জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি, স্বতাধিকারি নুকি শপ