জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি। জন্মস্থান ঝিনাইদহ। বাবার কর্মস্থলের জন্য নারায়ণগঞ্জ শহরেই বসবাস এবং বেড়ে ওঠা। বর্তমানে ঢাকাতে পরিবারের সঙ্গেই তার বসবাস। পরিবার সামলিয়ে অনলাইনে নিজেকে গড়ে তুলেছেন উদ্যোক্তা হিসেবে।
ফেসবুক পেজ ‘বৃত্তকথন’-ই তিথির উদ্যোগের পরিচয়। তিনি কাজ করছেন দেশিয় শাড়ি,থ্রী পিস,শাল নিয়ে। এছাড়াও তার পেজের পণ্যের মধ্যে রয়েছে হাতে বানানো সুতার কারুকাজের মেয়েদের বিভিন্ন পোশাক।
তিথি বলেন, ‘শুরুর দিকে সব কিছুই কঠিন থাকে। আমার উদ্যোগটা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া আরো কঠিন ছিল। কারণ, শুরুটা আমি একা করেছিলাম। তখন এমন সহজ ছিল না অভিজ্ঞ মানুষজনের পরামর্শ পাওয়া । তাই যা কিছু করেছি তা নিজের বুদ্ধি থেকেই। পিছন থেকে টেনে ধরার মানুষ অনেক ছিল। মূলত যারা অভিজ্ঞ তাদের কাছে সহযোগিতা আশা করেছিলাম। কিন্তু তারাই তাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে টেনে ধরেছেন। যার জন্যই হয়তো কিছুটা এগিয়ে আসতে পেরেছি। টাকা আমার তখনো ছিল না, এখনো নেই। তবে যা আছে তা হলো যোগ্যতা, কাজ করার চেষ্টা ও আগ্রহ ।
তিনি আরো বলেন, বাসার সব কিছু গুছিয়ে তার পাশাপাশি অর্ডারের কাজ করছি। বেশিরভাগ সময় সময় মতো খাওয়া হয় না। মাথায় একটা চিন্তা ঘুরপাক খায় আমাকে সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে অর্ডার সম্পূর্ণ করতে হবে। এটা হচ্ছে আমার নিজের কাছে নিজের দায়বদ্ধতা, আমার কাজের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা। যখন সবকিছু সামলিয়ে অর্ডার সম্পূর্ণ করি তখন এক অন্যরকম প্রশান্তি কাজ করে। যখন কষ্টার্জিত পরিশ্রমের ভাল ফল পাই তখন বহুগুণ বেড়ে যায় কাজের গতি।
তিনি আরো বলেন, ‘ আমার উদ্যোক্তা জীবনে সফল হওয়ার পিছনে কিছু মানুষের অবদান রয়েছে। আমার মা অনেক সাপোর্ট করেছেন। আমার বড় বোনের সহযোগিতা আর প্রেরনায় কাজ শুরু করা। কিন্তু যখন আমি নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছিলাম, তখন থেকে তারা যথেষ্ট সাপোর্ট করে। আর আমার উদ্যোক্তা জীবনে সফল হওয়ার পিছনে উই (উইমেন অ্যাান্ড ই- কমার্স ফোরাম) এ আসার পর এক বছর ধরে আমার পিছনে ই- ক্যাবের (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজিব আহমেদ স্যারের অবদান অনেক। আমি অনেক ভুল করতাম এখনো করি। কিন্তু ই- কমার্স নিয়ে স্যারের বিভিন্ন পরামর্শে নিজেকে ভালোর দিকে পরিবর্তন করেছি। রাজিব স্যার একটা আস্থার জায়গা। আমার ব্যবসার ছোট বড় ভুলগুলো স্যারের কথাতেই শুধরে নেওয়া।
তিনি বলেন আমি শুধু দেশী পন্যের একজন বিক্রেতা না একজন ক্রেতাও । দেশীয় ঐতিহ্য ও শিল্প বাচিয়ে রাখতে দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের থেকে কেনাকাটা করছি নিয়মিত ।
তিনি বলেন, উই এর কল্যানে কোর্সেরা কোর্স,মাস্টার ক্লাস,ওয়াইফাই কোর্স সহ বিভিন্ন ওয়ার্কশপ করার সুযোগ পেয়েছি। বর্তমানে ডিজিটাল স্কিল গ্রুপে সময় দিচ্ছি নিজেকে আরো পরিপূর্ণ করে তুলতে।