পণ্য হলো যেকোন বিজনেসের মূল বিষয়বস্তু। বিজনেসের সফলতা কিংবা ব্যর্থতা নির্ভর করে সঠিক পণ্যের উপর। ভুল পণ্য নির্বাচনের ফলে অনেক বিজনেসই দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকতে পারে না। ই-কমার্সের ক্ষেত্রে সঠিক পণ্য নির্বাচন আরো বেশি জরুরী কারণ এক্ষেত্রে একজন ক্রেতা সরাসরি পণ্য দেখে কেনাকাটা করতে পারে না এবং ই-কমার্সে পণ্যের টার্গেট কাস্টমার খুঁজে বের করা তুলনামূলকভাবে কঠিন। সঠিক পণ্য নির্বাচনের জন্য ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার পূর্বে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে –
১) প্রথমেই যাচাই করতে হবে কোন পণ্যের প্রতি উদ্যোক্তার আগ্রহ, জানার ইচ্ছা এবং কিছুটা হলেও ধারনা আছে।
২) এরপর গুরুত্ব দিতে হবে পণ্যের সোর্সিং। এমন সোর্স বেছে নিতে হবে যেখান থেকে পণ্য সোর্সিং করা সবদিক থেকে সুবিধাজনক এবং কম সময়সাপেক্ষ তা বিবেচনা করতে হবে। এছাড়াও এমন সোর্সিং বাছাই করতে হবে যা হবে নির্ভরযোগ্য।
৩) পণ্য বাছাই করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পণ্যের মানকে গুরুত্ব দিতে হবে। মানসম্মত ভালো পণ্যের চাহিদা সবসময়ই থাকে।
৪) পণ্য বাছাই করার পূর্বে নূন্যতম ৬মাস থেকে এক বছর সে পণ্যের ব্যাপারে সঠিক তথ্য ও জ্ঞান অর্জন করতে হবে যেনো ক্রেতাকেও সেই পণ্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানানো সম্ভব হয়।
৫) পণ্য নির্বাচনের পূর্বে অবশ্যই সঠিকভাবে মার্কেট যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে কখনোই অন্যের বিক্রি দেখে হুজুগে পণ্য বাছাই ও স্টক করা যাবে না।
৬) পণ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে সে পণ্যের ডেলিভারি সিস্টেম এবং প্যাকেজিং নিয়ে গবেষণার ব্যাপারে ও গুরুত্ব দিতে হবে। যেসকল পণ্য ডেলিভারি দেয়ার সময় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেসব পণ্য নিজের উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত করার পূর্বে ডেলিভারি দেয়ার প্রক্রিয়া এবং উপযুক্ত প্যাকেজিং এর ব্যাপারে গবেষণা করতে হবে।
যেহেতু ই-কমার্সে কাস্টমার সরাসরি দেখে বাছাই করে পণ্য কেনাকাটার সুযোগ পাননা তাই একজন ই-কমার্স ব্যবসায়ীকে এমন পণ্য বাছাই করতে হবে যেটা সম্পর্কে সে তার কাস্টমারকে সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে পারে এবং যে পণ্যের ব্যাপারে সে কাস্টমারকে আশ্বস্ত করতে পারে। তাই ই-কমার্সে সঠিক পণ্য বাছাইয়ের ব্যাপারে তাকে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে।
লেখক
রাকিমুন বিনতে মারুফ জয়া
স্বত্বাধিকারী :পরিধান শৈলী