কনটেন্ট! হতে পারে সেটা ভিডিও কনটেন্ট, অডিও কনটেন্ট টেক্সট কন্টেন্ট বা অন্য কিছু ৷ মোট মিলে কন্টেন্ট জিনিসটা এমন কিছু যেটি আপনার সামনে কোন ব্যাপারটাকে উপস্থাপন করে বেশ সাজিয়ে এবং গুছিয়ে ।
বর্তমানে এনালগ কনটেন্ট আমাদের তেমন আর চোখে পড়ে না। প্রায় সবগুলো ডিজিটাল কনটেন্ট পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল কনটেন্ট রয়েছে তবে। তবে সর্বোপরি কনটেন্টগুলো কে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে :
১.অডিও
২.ভিডিও
৩. ছবি
৪.টেক্সট
আচ্ছা বলতে পারবেন, আপনি এখন যে আর্টিকেলটি করছেন সেটাও কিন্তু এক ধরনের কনটেন্ট?
আসলে আর্টিকেল রাইটিং কে কনটেন্ট রাইটিং বলা হয়। বলতে পারবেন এই কনটেন্টটি কোন ধরনের কনটেন্ট?
হ্যাঁ নিঃসন্দেহে এটি টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট।
কনটেন্ট এর ভিতরে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও উপাত্ত থাকতে পারে৷ যেগুলো অনেকের সামনে উপস্থাপন করা হয় কোন বিষয়টিকে সুন্দর এবং গুছিয়ে বোঝাতে৷
বর্তমানে ডিজিটাল কনটেন্ট গুলো নানা ব্যবহার হচ্ছে। অফিস আদালত থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমনকি বাড়ির দৈনন্দিন সকল কাছেও ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করতে হয়।
তবে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিটাল কনটেন্ট গুলো সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে৷ এখন আর ছেলেমেয়েদের আগের মত বইয়ের পৃষ্ঠায় মুখ গুঁজে বসে থাকতে হয় না। তার পাশাপাশি এখন ডিজিটাল কনটেন্ট থেকে সহজেই একটি বিষয় বস্তু বুঝতে পারা যায়।হোক সেটা ভিডিও বা কোন এ্যানিমেটেড ছবি বা কোন অডিও।
ইন্টারনেট আবিষ্কারের পর থেকে ধীরে ধীরে ডিজিটাল কনটেন্ট এর অগ্রগতি লাভ শুরু করে৷ এমন কোন বিষয় নেই যার ওপর কোন ডিজিটাল কনটেন্ট নেই। ভাত রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে রকেট তৈরি সবকিছুরই রয়েছে ডিজিটাল কনটেন্ট।
ডিজিটাল কনটেন্ট এর এই যুগে এখন আর কোন বিষয়বস্তু বুঝে নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কাছে ছুটতে হয় না। বরং এখন শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম থেকে ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাধ্যমে পাঠ্য বিষয়টি খুব সুন্দরভাবে বুঝতে পারেন।
তবে ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে না তো আমাদের সনাতনী শিক্ষা প্রথা?
সনাতনী শিক্ষা প্রথা? সেটার আর দরকার কি?
দরকার রয়েছে। প্রচুর দরকার রয়েছে। আচ্ছা বলুনতো সনাতনী শিক্ষা প্রথা জিনিসটা কি?
আমরা যদি একটা দৃশ্য চিত্র কল্পনা করি, তাহলে সনাতনের শিক্ষা প্রথাটা এমন : দেখা যাবে শিক্ষক চক দিয়ে বোর্ডে লিখছেন ছাত্ররা বই খুলে পড়ছে। কিন্তু ডিজিটাল কনটেন্ট এর এই যুগে সনাতনী শিক্ষকতা খুব একটা চোখে পড়ে না। কেবলমাত্র গ্রাম অঞ্চল ব্যাতিত ।
সনাতনী শিক্ষা প্রথার তেমন আর কোনো গুরুত্ব নেই বিষয়টা সম্পূর্ণ ভুল । কারণ একজন শিক্ষক হচ্ছে জ্ঞানের প্রদীপ৷ তার কাজ তার শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো বিলিয়ে দেওয়া। ডিজিটাল কনটেন্ট এর এই যুগে এখন শিক্ষকদের অবজ্ঞা করতে দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে৷
ডিজিটাল কনটেন্ট গুলো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা এক ধরনের অগ্রগতি এনে দিয়েছে তা ঠিক আছে তবে এটিকে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার সম্পূরক হিসেবে ব্যবহার করতে পারে৷ তবে তাই বলে এমন নয় যে এটি সনাতন শিক্ষার বিকল্প৷
বরং শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক সবাইকে বুঝতে হবে যে সনাতন শিক্ষা প্রথম হচ্ছে আসল শিক্ষা প্রথা এবং শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ।
অনেক শিক্ষার্থী আসল পাঠ্যবইটি না পড়ে ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করতে দেখা যায়৷ ফলস্বরূপ তাদের ফলাফল যে খুব একটা ভালো হয় আমি তাও বলবো না।
সুতরাং পরিশেষে আমাদের সকলের এটুকুই বুঝতে হবে, যে সনাতন শিক্ষা প্রথাকে অবজ্ঞা না করে সেটাকেই শিক্ষার মূল অংশ হিসেবে ধরতে হবে । তবে ডিজিটাল কনটেন্ট কে যে কেউ অবজ্ঞা করবে ব্যাপারটা তা নয় । বরং ডিজিটাল কনটেন্ট আমাদের জীবনে এক ধরনের নতুন অগ্রগতি এনে দিয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে। সুতরাং ডিজিটাল কনটেন্ট কে সনাতনী শিক্ষাব্যবস্থার সম্পূরক হিসেবে ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো হবে৷