অপেক্ষার পালা শেষ। রাত পোহলেই জানা যাবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর জানানো হবে পরীক্ষার ফলের বিস্তারিত।
সকালে ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে কিছুটা সময় লাগবে। দুপুর ১২টা নাগাদ ফল জানা যাবে ওয়েবসাইটে।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্র/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এসএমএসের মাধ্যমে একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবে।
এই ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।
এছাড়া খুদে বার্তার মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। উদাহরণ— SSC DHA 654321 2021 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি খুদে বার্তায় জানা যাবে ফল।
আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের জন্য DAKHIL লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে সাল লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
একই স্থানে আগামী শিক্ষাবর্ষের বিনা মূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রমেরও উদ্বোধন হবে। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দুটি কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সেখানেই সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে আট মাস পর গত ১৪ নভেম্বর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়, যা শেষ হয় ২৩ নভেম্বর।
এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ২২ লাখ। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেশি ছিল।
করোনার কারণে এবার ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্নভাবে অনুষ্ঠিত হয় এই পরীক্ষা। অন্যান্য বছরের মতো এবার সব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি।
শুধু গ্রুপভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি) তিনটি বিষয়ে সময় ও নম্বর কমিয়ে এই পরীক্ষা হয়।
এবার অন্য আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। এসব বিষয়ে জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘ম্যাপিং’ করে নম্বর দেয়া হবে।