ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি উইথ রিয়াল ইমপ্যাক্ট (ডব্লিউইউআরআই) র্যাংকিং-এ শীর্ষ ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (সিইউবি)।
এবছর ডব্লিউইউআরআই র্যাংকিং-এ ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশন’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ৪৪ তম। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিপিং এন্ড মেরিটাইম সাইন্স বিভাগের উদ্ভাবনী প্রকল্পের গুরুত্ব ও প্রভাবের কারণেই এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এই প্রকল্পে জাহাজ চলাচলে চতুর্থ প্রজন্মের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের কৌশল বেছে নেওয়া হয়েছে। এটি এমন একটি অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে চলে, যার ফলে মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই নৌ পথে নিরাপদে জাহাজ চলতে পারে। এটি নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ বা সংকটকালীন পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে সক্ষম।
এই সম্মান অর্জন করায় অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা দিয়েছে ডব্লিউইউআরআই -এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমিরেটাস হিউ চ্যাং মুন।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জহিরুল হককে এক ই-মেইল বার্তায় হিউ চ্যাং মুন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আপনাদের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী প্রোগ্রামগুলো অন্য সব উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শেয়ার করার উপযুক্ত। এজন্য আগামী বছরেও আমরা আপনার উন্নত বা নতুন উদ্ভাবনী প্রোগ্রাম ডব্লিউইউআরআই-এর সঙ্গে শেয়ার করার অনুরোধ করছি’।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর এই বৈশ্বিক স্বীকৃতিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সব সময়ই বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য এই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সবাই নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনমূলক প্রকল্প ও কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করে থাকি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এসব প্রকল্পের বহুমুখী প্রভাব রয়েছে। ডব্লিউইউআরআই-সে ধরনেরই একটি প্রকল্পের বৈশ্বিক স্বীকৃতি দিয়ে আমাদের প্রচেষ্টাকে সম্মানিত করেছে’।
বাংলাদেশে শিপিং অ্যান্ড মেরিটাইম সায়েন্স শিক্ষার প্রসারে চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের দিকনির্দেশনায় কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে বিভাগটি চালু করা হয়। বর্তমানে এই বিভাগে স্নাতকের পাশাপাশি স্নাতকোত্তর পর্যায়েও শিক্ষাদান চলছে।