কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা বা এআই-ভিত্তিক পণ্য বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে চায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। শিগগিরই হেলথ ইনফরমেটিকস, আরএমজি ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এআই-ভিত্তিক পণ্য বাজারে আনবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সৈয়দ আখতার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এআই প্রয়োগের অনেক সফল প্রকল্পের একটি ‘মাল্টিমোডাল এআই প্লাটফর্ম’। সিআইএস বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের তৈরি প্লাটফর্মটি বাংলাদেশের প্রথম সফল এআই প্রয়োগের উদাহরণ। ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (আইটিএম) বিভাগের শিক্ষার্থীদের চাকরির উপযোগী করতে এরই মধ্যে এআই টুলস ব্যবহার শুরু হয়েছে। সৈয়দ আখতার হোসেন বলেন, ‘এআই-ভিত্তিক সব প্রকল্প ব্যবসামুখী, ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্যই এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমাদের ডিপ ফেক প্রকল্প পাইলট পর্যায়ে রয়েছে। বাজারে আনার আগেই পেটেন্ট করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মাসুম ইকবাল বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের ছেলেমেয়েরা গ্র্যাজুয়েট হওয়ার আগেই সব টেকনোলজি ও টুলস ব্যবহারে অভ্যস্ত হোক।’
ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেরা ব্যবহার করতে না পারলে আমরা অন্য দেশগুলোর কাছ থেকে এসব পণ্য কিনতে বাধ্য হব। এতে আমরা বিশ্বের তুলনায় পিছিয়ে যাব। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের পরিধি বাড়াতে হবে।’