বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচিত করা এবং ঐতিহ্যকে ধরে রাখার লক্ষ্যে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সে পিঠা উৎসব গত ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসব জুড়ে ছিল বাহারি নামের ও স্বাদের পিঠা-পুলির সমাহার। উৎসবের উদ্বোধন করেন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এনামুল বাশার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রশিদ (ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য), বিওটি মেম্বার আব্দুল হাসিব সিদ্দিক, রেজিষ্টার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার, পিএসসি, বিএন (অবঃ), অতিরিক্ত পরিচালক (ফাইন্যান্স) মোঃ গোলাম মোস্তফা, সহকারী পরিচালক (পিআর এন্ড ইএ) মোঃ আবুল বাশার, সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ জহুরুল হক, সহকারি রেজিষ্টার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে ছিলেন বিজনেজ ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান এস এম নাহিদুল ইসলাম, সালেহীন মাহবুব ও প্রমুখ ।
দিনব্যাপী এই পিঠা উৎসবে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স এর বিজনেজ এডমিনিস্ট্রেশন, কম্পিউটার সাইন্স, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রোনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, অ্যালামনাই এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা নিজেদের হাতে তৈরি করা এমন বাহারি পিঠা-পুলিতে স্টল সাজান। ফুলঝুড়ি, দুধ পাকন পিঠা, পদ্মাবতী, বউ সুন্দরী, কুলি পিঠা, হ্রদয়হরণ পিঠা, মেরা পিঠা, পাতা পিঠা, গোকুল পিঠা, নারিকেল পিঠা, ফলাহার,চিটাগং এর আতিক্কা, ব্রাউনি, নকশি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, গোলাপ পিঠা, বেণি পিঠা, নারকেল পুলি, ডিম পিঠা, পাটি সাপটা, ঝাল পিঠা, চিতই, ভাপা ও কলার পিঠাসহ প্রায় ১০০ রকমের পিঠা ছিল শিক্ষার্থীদের স্টলে।
উৎসব ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে (বিল্ডিং-২) বর্ণিল সাজে সাজানো হয় । ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্বপরিবারে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দের অংশগ্রহণে পিঠা উৎসব মিলনমেলায় পরিণত হয়। তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন ।
শীতকালীন পিঠা-পুলির উৎসবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম ফরিদ হাবিব (অবঃ), চেয়ারম্যান বিওটি, ভাইস চেয়ারম্যান, বিওটি জনাব মোঃ আরিফুল হক, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ভিসি অধ্যাপক ড. এনামুল বাশার, অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রশিদ (ভারপ্রাপ্ত ভিসি), রেজিষ্টার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার, পিএসসি, বিএন (অবঃ) প্রমুখ । সম্মানিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান স্টল” পরিদর্শন করেন এবং প্রতিটি স্টল থেকেই পিঠা ক্রয়/সংগ্রহ করে বিভিন্ন স্বাদ গ্রহন করেন এবংশিক্ষার্থীদের শীতের রকমারি পিঠা ও স্টলের ভূয়সী প্রসংশা করেন। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পেরে আনন্দ ভোগ করেন এবং তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করেন । বাংলার ঐতিহ্যকে লালন ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে আগামীতেও এমন উৎসব আয়োজন করা হবে ।