বিশ্ব মানের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে এক নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এটি হচ্ছে বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ কোরিয়ার নাম্বার ওয়ান ইউনিভার্সিটি হলো সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
কিউএস ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২৫ এর প্রতিবেদন অনুসারে ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিশ্বের সেরা ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্মানজনক ৩১ তম স্থানে রয়েছে। এর ওভার অল স্কোর হচ্ছে ৮২.৩ পয়েন্ট। যদিও তাদের র্যাংকিং এ এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেস্টিজিয়াস সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অধ্যায়নরত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৪ হাজার ৪৩৬ জন এবং শুধু পিএইচডি লেভেলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা হয়ত প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি হতে পারে। তাছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট তিন হাজারের অধিক বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্টুডেন্ট পড়াশোনা করছেন।
আসলে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং চীনের বিশ্ব মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন, গবেষণা এবং উন্নয়নে এ দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় এক আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে।
এমনকি প্রযুক্তিগত বিপ্লবে এক আমেরিকা ব্যতীত পশ্চিমা বিশ্বের সকল দেশকে অনেক আগেই ছাপিয়ে গেছে। মোট কথা উচ্চস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দেশগুলোর প্রযুক্তি নির্ভর শিল্প খাতের এক নিবিড় সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে চলমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এক রকম চালিকা শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ।