উত্তরা ক্যাম্পাসের রূপান্তরকে উদযাপন করতে সম্প্রতি ‘গ্লেনএক্সপ্লোর ডে’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল উত্তরা। সবার জন্য উন্মুক্ত এই আয়োজনটি গ্লেনরিচ উত্তরা ক্যাম্পাসের নানামুখী পরিবর্তন সম্পর্কে সরাসরি জানার সুযোগ তৈরি করে। গ্লেনএক্সপ্লোর ডে আজ (২১ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত হয়।
আগে ডিপিএস নামে পরিচিত গ্লেনরিচ উত্তরা ক্যাম্পাস ২১ শতকের উপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য সব পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। শিক্ষার অনন্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা (ফ্যাসিলিটি) দেখার সুযোগ সহ গ্লেনএক্সপ্লোর ডে’তে শিক্ষার্থীদের ‘স্কুল অব লাইফ’ ধারণার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। ‘স্কুল অব লাইফ’ শিক্ষার্থীদের এখনকার ক্রমশ পরিবর্তনশীল বিশ্বের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা উত্তরা ক্যাম্পাসের সর্বশেষ পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ পান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তরুণ শিক্ষার্থীরা স্টেমরোবো পরিচালিত রোবোটিক্স ল্যাবের উদ্ভাবন ও এর আকর্ষণীয় জগত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের ম্যাথবাডি পরিচালিত ম্যাথল্যাব থেকে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা অর্জন, এবিআরএসএম’র (অ্যাসোসিয়েটেড বোর্ড অব রয়্যাল স্কুলস অব মিউজিক, ইউকে) প্রশিক্ষকদের নির্দেশনায় সঙ্গীত প্রতিভা তুলে ধরা এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ফ্রেঞ্চ ভাষা শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়। বিউমন্টের ডিজাইন করা একদম নতুন স্কেটিং রিঙ্কে যাওয়ার সুযোগ পান অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
অত্যাধুনিক এসব ফ্যাসিলিটি ও আপগ্রেড সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেওয়ার পাশাপাশি, শিক্ষার্থীরা অ্যাক্টিভিটি পার্টনার হাইপার ল্যাপ্সের ভিন্ন ভিন্ন চারটি থিম জোনের আকর্ষণীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। চারটি থিম জোন হচ্ছে – হাইপার কার্নিভাল গেমস বুথ, জাঙ্গল থিম জোন, ওশান থিম জোন ও স্পেস থিম জোন। থিমেটিক এই গেম জোন ও বুথগুলোতে অংশগ্রহণের সময় শিক্ষার্থীরা নিজেদের শারীরিক এবং মানসিক শক্তির স্বাক্ষর রাখেন; ফলে পুরো প্রক্রিয়া হয়ে ওঠে আরও আনন্দদায়ক এবং উপভোগ্য। একইসাথে, আয়োজনে শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু মজাদার ফুড স্টলেরও ব্যবস্থা ছিল।
এ বিষয়ে গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল উত্তরার প্রিন্সিপাল ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, “গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য ভবিষ্যতোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; যেখানে অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষসাধন ও বাস্তব বিশ্বের উপযোগী দক্ষতার সমন্বয় ঘটবে। রূপান্তরের অংশ হিসেবে আমরা গণিত, স্টেম ও অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে নানা ধরনের উদ্ভাবন নিয়ে আসতে পেরেছি; এ কারণে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। ২১ শতকের উপযোগী ক্যাম্পাস ও ভবিষ্যতোপযোগী শিক্ষা সম্পর্কে জানার সুযোগ হিসেবে এই গ্লেনএক্সপ্লোর ডে’র আয়োজন করা হয়েছে। আমি মনে করি, এই অনুষ্ঠান সবার জন্য সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সবাইকে উজ্জীবিত করেছে।”