সাধারণত ধারণা করা হয় যে, ভিডিও গেম শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, এটি শিশুদের মানসিক বিকাশেও সহায়তা করে। ইতালির স্যাক্রেড হার্টের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাপত্রটি গেমস ফর হেলথ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণার সময় তারা একটি মানসিক বুদ্ধিমত্তা প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম তৈরি করেন যেখানে অভিজ্ঞতাভিত্তিক লার্নিং টুলস হিসেবে ভিডিও গেমকে ব্যবহার করা হয়েছে। গবেষকরা তরুণদের মধ্যে মানসিক বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধির জন্য এমটিভিমেন্তে নামে একটি ভিডিও গেম তৈরি করেন এবং ভিডিও গেমটি খেলার মোট আটটি সেশনে অংশগ্রহণকারী ১২১ জন কিশোর-কিশোরীর মানসিক বিকাশ বিশ্লেষণ করেন। যার প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা যায়, ভিডিও গেম অংশগ্রহকারীদের মূল্যায়ন এবং আবেগ প্রকাশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে, আবেগ এবং বুদ্ধিমত্তা বিকাশের জন্য বাইরের ক্রিয়াকলাপ বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যার মধ্যে রয়েছে শিশুদের মধ্যে আবেগ নিয়ে সচেতনতা, এর প্রভাবগুলো নিয়ন্ত্রণ করা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখা।
দিল্লির ফোর্টিস মানসিক স্বাস্থ্য প্রোগ্রামের কনসালট্যান্ট ও পরিচালক সামির পারখ জানান, ভিডিও গেম মানসিক দক্ষতা বাড়ানোর সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক উপায় নয়। পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যক্তিগত সংযোগ তৈরি করে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে বর্তমান প্রজন্মকে পর্যাপ্ত বহিরাঙ্গন কার্যক্রমে মনোযোগ দেয়া উচিত।
তিনি মনে করেন, নতুন এই কৌশলটিকে নিয়ে আরো অনেক গবেষণা এবং পর্যালোচনা করা উচিত। আর কেবলমাত্র তখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে যে, আদৌ ভিডিও গেমের কোনো উপকারিতা রয়েছে কিনা।
তথ্যসূত্র : গ্যাজেটস নাউ