২০২০ সালে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে গেমিং কম্পিউটার (ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ) এবং মনিটরের বাজারে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সেই সঙ্গে এসব পণ্যের উৎপাদন ২ কোটি ১৭ লাখ ইউনিট ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর আইএএনএস।
করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালে জাপান ব্যতীত এশিয়া-প্যাসিফিকের অন্যান্য অঞ্চলে সব মার্কেট বন্ধ ছিল। এ কারণে বিশ্বের অন্যান্য কনজিউমার টেকনোলজিস প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সরবরাহ বৃদ্ধির সুযোগ পায়। বিশেষ করে গেমিং-সংক্রান্ত যেসব ডিভাইস রয়েছে, সেগুলোর উৎপাদন বাড়ে। ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) প্রান্তিকভিত্তিক গেমিং ডিভাইস ট্র্যাকার প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে গেমিং কম্পিউটারের বাজার ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এ বাড়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল গেমিং নোটবুকের। ২০২০ সালে গেমিং নোটবুকের বাজারজাত ১৬ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে এবং এর উৎপাদন ৯৭ লাখ ইউনিট ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে ডেস্কটপের বাজারে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।
আইডিসি এশিয়া-প্যাসিফিকের গেমিং এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি রিসার্চ বিভাগের বাজার বিশ্লেষক ইয়েক্সি লিয়াও বলেন, ২০২০ সালে দীর্ঘ সময় মানুষ গৃহবন্দি ছিল। এ সময় বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গেমিং ভালো জনপ্রিয়তা অর্জন করে। যে কারণে বাজারে গেমিং ডিভাইসের চাহিদা ও উৎপাদন বাড়ে।
এক বিবৃতিতে লিয়াও বলেন, বাজারে এসব ডিভাইসের উচ্চ চাহিদা থাকলেও এলসিডি প্যানেল, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিটের (জিপিইউ) সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যের পর্যাপ্ত জোগান দিতে পারেনি।
২০২০ সালে গেমিং মনিটরের বাজার বিগত বছরের তুলনায় ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় অঞ্চলটিতে ১৪৪ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের মনিটরের চাহিদা বেশি ছিল এবং সরবরাহও ছিল বেশি। এছাড়া বিগত বছরের তুলনায় ২০২০ সালে ১৬৫ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের মনিটরের চাহিদা ও বাজার ৪০০ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। মূলত গেমাররা ভালো গেমিং অভিজ্ঞতার জন্য ভালো রিফ্রেশ রেটের মনিটর ব্যবহারে আগ্রহী হওয়ায় এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, এ অঞ্চলের সব মার্কেট বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।