আপওয়ার্কে কাজ চান? ফাইবারে ক্যারিয়ার শুরু করতে চান? ফ্রিল্যান্সিং বলেন বা ক্যারিয়ারে কাজ করতে গেলে এখন আপনাকে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই ভালো জানতে হবে।
প্রশিক্ষণ নেওয়ার ফলে চাকরির ওপর নির্ভরশীলতা কমছে। নিজে উদ্যোক্তা হচ্ছেন অনেকেই। তবে এখনকার সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন প্রশিক্ষণ হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। কারণ, অন্যান্য প্রশিক্ষণ নিতে গেলে কিছুটা তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান দরকার হয়। কিন্তু বিভিন্ন খাতের আগ্রহী কম আইটি জ্ঞান নিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন শিখে ভালো করতে পারছেন। এর পাশাপাশি নারীরা বাসায় বসে কাজের সুযোগ হিসেবে গ্রাফিক ডিজাইনকে প্রাধান্য দেন। অল্প সময়ে বিষয়টি শিখে চর্চা করলে ভালো করা যায় বলে অনেকেই গ্রাফিক ডিজাইনকে প্রাধান্য দেন।
গত বছরেই তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ হাজার ব্যক্তি গ্রাফিক ডিজাইনে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এরপর রয়েছে ওয়েব ও সফটওয়্যার–বিষয়ক প্রশিক্ষণে আগ্রহ।
তবে ভবিষ্যতে সাইবার নিরাপত্তা, ডেটা অ্যানালাইসিস, ডিজিটাল মার্কেটিং ও রোবটিকসের মতো বিষয়ে প্রশিক্ষণে আগ্রহ বাড়বে প্রযুক্তি খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। বেসিসের ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তরুণ ও যুবকদের।
‘স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইআইপি)’ অধীনে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস অ্যান্ড ওয়েব ইউআই ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট-পিএইচপি, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট-ডটনেট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (অ্যান্ড্রয়েড), সার্ভার অ্যাপ্লিকেশন অ্যান্ড ক্লাউড ম্যানেজমেন্ট, আইটি সাপোর্ট-টেকনিক্যাল, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, কাস্টমার সাপোর্ট সার্ভিস, আইটি সেলস ম্যানেজমেন্ট প্রভৃতি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে এখন সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস অ্যান্ড ওয়েব ইউআই ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট-পিএইচপি, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট-ডটনেট প্রভৃতি বিষয়ে।