সব কম্পিউটারই চলা অবস্থায় গরম হয়। তবে অতিরিক্তি গরম হলে কম্পিউটারের বড় ধরনের ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে। তাই পিসি ঠাণ্ডা রাখা খুবই জরুরি। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক পিসি ঠাণ্ডা রাখার ৭ কার্যকর টিপস।
♦ পিসির বায়ুছিদ্রগুলো দিয়ে বাতাস বেরিয়ে যেতে দিন। পিসি যদি দেয়ালের পাশে থাকে, তাহলে পিসিটি দেয়াল থেকে অন্তত কয়েক ইঞ্চি দূরে রাখা উচিত। তা ছাড়া টেবিল বা ডেস্কের নিচের অংশে রাখলে সেই অংশের দরজা বা ঢাকনা যেন খোলা থাকে।
♦ পিসির কেসিং বন্ধ রাখুন। অনেকে মনে করে থাকেন, যেহেতু পিসির কেসিংয়ের বায়ুছিদ্র গরম বাতাস বের হতে সাহায্য করে, সেহেতু কেসিংয়ের সম্পূর্ণ ঢাকনা খোলা রাখলে নিশ্চয়ই গরম বাতাস আরো ভালোভাবে বের হয়ে যাবে। যুক্তি ঠিক আছে! কিন্তু ঢাকনা খোলা রাখলে বাতাস বেশি বের হওয়ার পাশাপাশি আপনার সিপিইউতে ধুলাবালি বেশি পরিমাণে ঢুকবে। এতে আপনার কুলিং ফ্যান জ্যাম হয়ে বাতাস প্রবাহ আরো কমিয়ে দেবে।
♦ পিসি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। জমে থাকা ধুলাবালি যেহেতু ফ্যান জ্যাম করে দেয়, তাই এসব নিয়মিত পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত বিরতিতে পিসির কেসিং খুলে সম্পূর্ণটা পরিষ্কার করা উচিত।
♦ সিপিইউ কেসিং বা পিএসইউয়ের সঙ্গে কুলিং ফ্যান অনেক সময় দেওয়াই থাকে। কিন্তু এই কুলিং ফ্যানগুলো খুব বেশি শক্তিশালী হয় না। তাই আরো ভালো পারফরম্যান্স চাইলে আলাদা এক বা একাধিক ভালো মানের কুলিং ফ্যান সিপিইউতে লাগাতে পারেন।
♦ আধুনিক শক্তিশালী পিসিগুলোর ক্ষেত্রে শুধু ফ্যান দিয়ে বাতাস বাইরে পার করে দেওয়াই যথেষ্ট নয়; এ জন্য আপনি ওয়াটার কুলিং সিস্টেম ইনস্টল করতে পারেন, যা পানির মাধ্যমে তাপ শোষণ করে এবং এটা অনেক বেশি কার্যকর।
♦ ফেইজ চেঞ্জ ইউনিট একটি অত্যাধুনিক কুলিং টেকনোলজি। এটি মূলত সিপিইউর জন্য এক ধরনের রেফ্রিজারেটরের কাজ করে।
♦ পিসির ওভারক্লকিং না করাই ভালো। যারা সিপিইউকে ওভারক্লকিং করেন, তাঁরা যদি পিসি ঠাণ্ডা রাখতে চান, তাহলে ওভারক্লকিং (বিশেষ উপায়ে অস্বাভাবিক বেশি পারফরম্যান্স আদায় করা) এখনই বন্ধ করুন। কারণ ওভারক্লকিং সরাসরি পিসির কর্মদক্ষতার ওপর প্রভাব ফেলে এবং এতে আপনার পিসি অনেক বেশি তাপ উৎপন্ন করে।