সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বর্তমান ফেসবুক বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ফেসবুক ব্যবহারে রীতিমতো আসক্ত হয়ে পড়ছেন এর ব্যবহারকারীরা। তবে নিরাপত্তা বিষয়ক নিয়ম কানুন ভালোভাবে না জানার ফলে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ায় অনেককেই নানা হয়রানি ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছে। যেখানে নিজের ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখতে করণীয় সম্পর্কে দেওয়া হয়েছে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা।
ডিএমপির পরামর্শ:
১. পাসওয়ার্ড রক্ষা করতে হবে: কখনও পাসওয়ার্ড কারো সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। এমন পাসওয়ার্ড নির্বাচন করুন যা অনুমান করা কঠিন। কখনই নিজের নাম বা সাধারণ শব্দ পাসওয়ার্ডে ব্যবহার করা উচিত না।
ফেসবুক পাসওয়ার্ডটি শুধু ফেসবুকের জন্য ব্যবহার করা উচিত। অন্য কোনো সিকিউরিটির ক্ষেত্রে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে তা প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২. অন্য কেউ যেন আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে না পারে তাই অতিরিক্ত নিরাপত্তা (Login Approvals) ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য ফেসবুকের Two step verification পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
৩. ই-মেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে হবে।
৪. ব্যবহার শেষে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অবশ্যই লগ আউট করতে হবে।
৫. নিউজ ফিডে অথবা মেসেঞ্জারে সন্দেহজনক কোনো লিংক দেখলে সঙ্গে সঙ্গে রিমুভ করে দিতে হবে। নিশ্চিত না হয়ে যেকোনো গেম, অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যদের পাঠানো কোনো লিংকে ক্লিক করা উচিত না।
৬. ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিকল্প ই-মেইল আইডি যুক্ত করুন। যদি আপনার প্রোফাইল কোনো কারণে হ্যাকও হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ফেসবুক আপনার দ্বিতীয় ই-মেইলে আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের জন্য তথ্য পাঠাবে।
৭. অপরিচিত কারোর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করার আগে তার প্রোফাইল চেক করে নিতে হবে।
৮. একেবারে ব্যক্তিগত কোনো ছবি, তথ্য (ফোন নম্বর, ঠিকানা, ই-মেইল অ্যাড্রেস ইত্যাদি) ফেসবুকে শেয়ার করা উচিত না।
৯. আপনার পোস্ট কারা দেখতে পারবে তা সতর্কভাবে নির্বাচন করতে হবে।
১০. পাবলিক কম্পিউটারে (সাইবার ক্যাফে, ল্যাব ইত্যাদি) ফেসবুক ব্যবহার না করাই ভালো। তবে ব্যবহার করতে হলে ব্যবহারের পর লগ ইন হিস্টোরি মুছে দিতে হবে।
ভুক্তভোগীর করণীয়:
ফেসবুক হ্যাকের মাধ্যমে হয়রানি কিংবা বিড়ম্বনার শিকার হলে কালক্ষেপণ না করে নিকটস্থ থানা পুলিশকে অবহিত করুন এবং জিডি অথবা মামলা করুন।