রান্না করে থেকে শুরু করে স্যাটেলাইট পরিচালনা এখন সব কিছুতেই লেগেছে অনলাইনের ছোঁয়া। বাদ যায়নি মানুষের জীবিকা নির্বাহ । যদি কখনো জীবনের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারেন, তাহলে কখনো হাল ছেড়ে দেবেন না৷ বরং আপনার জন্য রয়েছে অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন ধরনের পথ।
একটা সময় ছিল যখন মানুষ ভাবতো অনলাইনের মাধ্যমে সবকিছু স্বয়ংক্রিয় ভাবে তদারকি করা হলে অনেক মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে৷ কিন্তু তাদের ধারণাটি কে ভুল প্রমাণিত করে এখন অনলাইনে ১০১ রকমের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে৷ যেখানে মানুষ তাদের বেকারত্ব তো দূর করছেই, তার পাশাপাশি দিন শেষে একটি ভাল অঙ্কের টাকা উপার্জন করতে পারছে৷
কিন্তু সবকিছুর জন্য একটি দক্ষতার প্রয়োজন। দক্ষতা না থাকলে কোনো কাজই করা যায় না৷
তেমনি অনলাইনে আয়ের এর ক্ষেত্রে দক্ষতা প্রয়োজন হয়৷ তবে আপনি চাইলে দিনকে দিন একটু একটু করে দক্ষতা অর্জন করে এক সময় সেই কাজটিকে প্রফেশন হিসেবে বেছে নিতে পারেন৷ আর সে কারণেই আজকে আমরা আপনাদের সাথে পাঁচটি অনলাইন আর্নিং এর উপায় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি৷
১. সার্ভে করে আয়:
বর্তমান সময়ে সার্ভে করে আয় বেশ জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তরুন সমাজকে ক্ষেত্রে৷ বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে ফিডব্যাক চায়৷ এবং এই ফিডব্যাক দেওয়ার বদলে তারা নির্দিষ্ট এমাউন্টের একটি অর্থ ফিডব্যাক প্রদানকারীদের দিয়ে থাকে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের বাংলাদেশের সরাসরি এই সুবিধাটি নেই। অনেকেই অন্যদেশের আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে সার্ভের কাজ করে থাকে৷
আপনি চাইলে বিশ্বস্ত কারও কাছ থেকে আইপি অ্যাড্রেস কিনতে পারেন৷
২.ব্লগিং করে আয় :
ব্লগিং করে আয় বর্তমানে অনলাইন আউটসোর্সিং এর জনপ্রিয় একটি উপায়৷ বর্তমান সময়ে গুগলের অন্যতম একটি ফিচারস গুগল এডসেন্স ব্লগারদের ব্লগিং করে আয় করার একটি দারুণ সুযোগ করে দিয়েছে৷ গুগল এডসেন্স মূলত একটি এড নেটওয়ার্ক৷ যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের বিজ্ঞাপন প্রচার করে এবং সেই বিজ্ঞাপন গুলো ব্লগারদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন স্থানে দেখানো হয়৷ এবং এর বিনিময় গুগোল যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে তার এক অংশ ব্লগারদের সাথে শেয়ার করে৷
৩.এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় :
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি বেশ বড় একটি অংকের টাকা আয় করতে পারবেন৷ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রাথমিক ধারণা সম্পর্কে বলতে গেলে বলা চলে, এখানে যদি আপনি একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির পণ্য কারো কাছে বিক্রি করতে পারেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে সেই কোম্পানি আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণের লভ্যাংশ শেয়ার করবে৷
৪.সিপিএ মার্কেটিং করে আয় :
সিপিএ মার্কেটিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। তবে সিপিএ মার্কেটিং এ আপনার রেফার করা কোন লিংক অথবা কোডের মাধ্যমে যদি কেউ পণ্য ক্রয় করে তাহলে তার নির্দিষ্ট একটি লভ্যাংশ আপনার সাথে শেয়ার করা হবে৷ আপনি চাইলে একটি ব্লগ সাইট অথবা আপনার ইউটিউবেও সিপিএ মার্কেটিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন৷ বর্তমানে তরুণসমাজ বেকারত্ব দূর করার জন্য সিপিএ মার্কেটিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কে বেছে নিয়েছে৷ এবং তারা বেশ ভাল ভাবে লাভবান হচ্ছে৷
৫.ইউটিউব এর মাধ্যমে আয় :
ইউটিউব হচ্ছে বর্তমান সময়ে ভিডিও শেয়ারিং এর সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম৷ প্রথম থেকে আমার মাথায় একটু প্রশ্ন ঘুরঘুর করত। ইউটিউবে কেন এত ভাল ভাল কনটেন্ট তৈরি করা হচ্ছে?
তারপর ব্যাপারটি আমার কাছে স্পষ্ট হলো৷ ইউটিউবে একজন ইউটিউবার যত ভালো ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েট করবে, তার ততোবেশি ভিজিটর হবে এবং তার আয়ও ততো বাড়বে৷ সুতরাং “ইউটিউব তাদের মেম্বারদের পে করে থাকে” তখন সে ব্যাপারটি আমার কাছে পরিস্কার হলো৷
আমাদের দেশের ইউটিউবাররা কেবলমাত্র অর্থ উপার্জন করেই থেমে নেই। বরং দেশকে বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করে চলেছে৷