বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির। আর আধুনিক যুগের আধুনিকতার সাথে পাল্লা দিয়ে সব কিছুতেই আসছে পরিবর্তন। প্রতিনিয়ত আসছে নতুনত্ব। দিনদিন সৃষ্টি হচ্ছে মানুষের নতুন নতুন কর্মসংস্থান। তবে, আধুনিক সময়ে সেই কর্মসংস্থানের জোয়ার যেনো অনলাইন ভিত্তিক কাজগুলোকে কেন্দ্র করেই। এরকম অনলাইন ভিত্তিক বেশ কয়েকটি কাজের মধ্যে একটি রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে কেউ নিজের দক্ষতা প্রকাশ করতে পারে মানুষের কাছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে স্কুল- কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজের জীবন গড়তে পারবে। এবার জেনে নিই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
আমরা সবাই মার্কেটিং বিষয়টি কম-বেশি বুঝি। এক কথায় বললে, প্রচারের কাজটাই যখন অনলাইন ভিত্তিক প্লাটফর্মকে ঘিরে হয়। অর্থাৎ, ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের কাজই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
এখন জেনে নেয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ:
ডিজিটাল মার্কেটিং-এর অনেক সেক্টর রয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সেক্টর হচ্ছে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM), কন্টেন্ট সৃষ্টি করা, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ডিজিটাল ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন, ভাইরাল মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং কেমন এবং এর গুরুত্ব:
ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং অসাধারণ। সেই সাথে প্রযুক্তির যুগে এর ভীষণ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এই মাধ্যমে আপনি কাজ করতে পারবেন ঘরে বসেই।
অন্যদিকে আপনার পছন্দমতো সময় ঠিক করে কাজ করে ঘরে বসেই উপার্জন করতে পারবেন। আধুনিকতার যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ছোঁয়া আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবে দ্রুততার সাথে।
সে দিক বিবেচনা করলে যে কেউ এখন থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে নিজেকে একদিন অভিজ্ঞ ডিজিটাল মার্কেটারদের কাতারে নাম লিখাতে পারে। বিশেষ করে যুব সমাজের যারা বেকারত্বের সমস্যায় আছেন তারা চাইলে নিজের জীবন পরিবর্তন করে ফেলতে পারে এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর দক্ষতা থাকলে আপনি শুধু বাংলাদেশি ক্লায়েন্টের কাজ নয়, বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিদেশি ক্লায়েন্টের ও কাজ করতে পারবেন ঘরে বসেই।
বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদের একটা বড় অংশ আকৃষ্ট হচ্ছে ফেসবুকের প্রতি। আসলে ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে মুভি না দেখে আমরা চাইলে প্রতিদিন একটু একটু করে নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারি।
ফেসবুকে মানুষের ছবি দেখা কিংবা আমাদের ছবিতে কয়টা লাইক, কমেন্ট আসলো এসব না দেখে আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ করে বেশ ভালো অঙ্কের টাকা উপার্জন করতে পারি।
যেমন: এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি সেক্টর ফেসবুক মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজে আপনি দক্ষ হতে পারলে অবশ্যই উপার্জন করা সম্ভব।
মনে করুন ঢাকাতে আপনার এক বন্ধু নতুন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় নেমেছেন, যেহেতু এটা নতুন রেস্টুরেন্টে তাই মানুষজন কম চিনবে। আর যখন আপনার বন্ধু এটা ফেসবুকে শেয়ার করলো যে তিনি নতুন রেস্টুরেন্ট দিয়েছেন তখন আপনি তার সাথে কথা বলে চাইলে তার রেস্টুরেন্টের ফেসবুক মার্কেটিং কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে দিলেন।
সেই সাথে আপনার বন্ধুর মাথায় ঢুকিয়ে দিলেন নতুন রেস্টুরেন্টে জনপ্রিয় হওয়ার কিছু কারণ। এই টুকু কাজে আপনি দক্ষ হন, তখন আপনি এই কাজের জন্য টাকা আয় করতে পারবেন।
সময়ের পালাবদলে সাধারণ মানুষ ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং ইত্যাদির পিছনে টাকা খরচ করে নিজের ব্যবসার প্রচার বাড়াবেই।
তেমনি ফেসবুকের পাশাপাশি অন্য সোশ্যাল মিডিয়ার মার্কেটিং এর কাজ জানলে আপনি ও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব এর দিক দিয়ে বিবেচনা করলে ও এককথায় এর গুরুত্ব অপরিসীম।
বিশেষ করে আগামীর দিনগুলোতে। যেমন: ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম আর ও একটি সেক্টর হচ্ছে এসইও। এখন দিনেদিনে মানুষ নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট, প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট, ব্যবসায়ীক ওয়েবসাইট খুলছে আর সেইসব ওয়েবসাইটের জন্য ভিজিটর (পাঠক) এর গুরুত্ব অনেক।
আর সেই সব পাঠককে অর্গানিকভাবে গুগল থেকে নিজের ওয়েবসাইটে আনার জন্য এসইও জরুরি, এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট জরুরি। এই এসইও ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি সেক্টর।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব কিংবা ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং কেমন তা বলে শেষ করা যাবে না। তাই ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংও হবে অন্যতম একটি পেশা।