আমরা অনেকেই ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহার করে থাকি। হোক সেটা গেমিং করতে অথবা কোডিং করতে। আমাদের কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই স্ক্রীন রেকর্ডারের দরকার পরে আর এইবার আপনাদের সামনে সেগুলোই হাজির করতে চলেছি। চলুন দেখে নেই ২০২১ সাল পর্যন্ত যে যে স্ক্রীন রেকর্ডিং সফটওয়্যার জনপ্রিয়তা পেয়েছে বিশ্বজুড়ে।
ওবিএস স্টুডিও
ওবিএস স্টুডিও অনেকের কাছেই বেশ জনপ্রিয়। আর এটা একেবারেই ফ্রি। মানে আপনাকে এটা ব্যবহার করতে কোনপ্রকার টাকা খরচ করতে হবে না। আর এই সফটওয়্যার বেশ লাইট একটা সফটওয়্যার যা যেকোন এন্ট্রি লেভেল কম্পিউটারেই ব্যবহার করা যাবে। এবং এর ব্যবহারবিধিও বেশ সহজ তাই স্ক্রীন রেকর্ডিং এ নতুন হলেও বেশ সহজেই করা যাবে দুরদান্ত কোয়ালিটির স্ক্রীন রেকর্ডিং। আর এই সফটওয়্যার লিনাক্স, ম্যাক এবং উইন্ডোজ এই ব্যবহার করা যাবে। এটাকে আপনি মিক্সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, টুইচ এ স্ট্রিইমিং করতে পারেন এইটা দিয়ে, আবার ইউটিউবের জন্যও এটা ব্যবহার করতে পারেন।
এপাওয়ারফট আল্টিমেট
প্রথমেই বলে নেই যে এই সফটওয়্যার একটি প্রিমিয়াম সফটওয়্যার তাই যারা টাকা খরচ করতে চান না তারা চাইলে এই রেকর্ডারের পার্ট স্কিপ করে নিচেরগুলো পরে ফেলতে পারেন। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করতে আপনাকে বছরে প্রায় মার্কিন ৬০ ডলার খরচ করতে হবে। তবে এই খরচের বিনিময়ে আপনি যা পাবেন তা হলো, উইন্ডোজ, ম্যাক, অ্যান্ড্রোইড এবং আইওএস এ ব্যবহার করতে পারবেন। হ্যাঁ, মাত্র ৬০ ডলারের বিনিময়ে আপনি পাচ্ছেন উপরের অপারেটিং সিস্টেমের ডিভাইসে এই সফটওয়্যার ১ বছর ধরে ব্যবহারের সুযোগ। তবে এর আরও বেশ কিছু ফিচার আছে যেগুলো নিয়ে পরে একবার আলোচনা করা হবে।
স্ক্রীন কাস্ট-ও ম্যাটিক
এই রেকর্ডারটির জনপ্রিয়তার কারণ হলো এটি একটি অনলাইন রেকর্ডার তাই এটি ইন্সটল করার কোন দরকার পরে না। আবার এটিকে একটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ্লিকেশানও বলা চলে। কেননা এতে আপনি স্ক্রীন রেকর্ডের পাশাপাশি বেশ কিছু বেসিক এডিটিং করতে পারেন। আর এতে আপনি চাইলে ওয়েবক্যামও আনতে পারেন। এবং এই অ্যাপ্লিকেশান ব্যবহার করতে হলে আপনার মাসে প্রায় মার্কিন ১.৫ ডলার খরচ করতে হবে। তবে প্রায় ১.৫ ডলার খরচ করে আপনি উইন্ডোজ, ম্যাক, ক্রোম ওএস এবং আইওএস এ ব্যবহার করতে পারেন। তবে হ্যাঁ, এর ফ্রি ভার্সনও রয়েছে তবে তাতে আপনি এর পুরোটা সুবিধা নিতে পারবেন না।
এস থিংকার
এই অ্যাপ্লিকেশান একটু বেশিই প্রোফেশনাল। এটি একটি ওয়েব বেইজড স্ক্রীন রেকর্ডিং অ্যাপ্লিকেশান আর এইটা স্টক ট্রেন্ড বা এই জাতীয় জিনিস রেকর্ড করতে ব্যবহার করা হয়। আর এইটা আপনি ফ্রিতেও ব্যবহার করতে পারেন আবার ৪০ ডলার খরচ করে প্রিমিয়াম সেবা নিতে পারেন। আর অবশ্যই আপনি যখন ফ্রিতে ব্যবহার করবেন তখন আপনি বেশ কিছু ফিচার থেকে বঞ্চিত থাকবেন।
স্ক্রীনফ্লো
আপনি যদি অ্যাপল ব্যব্যহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার স্ক্রীনফ্লো অনেক ভাল লাগবে কেননা এটি মূলত ম্যাক এবং আইওএস এ ব্যব্যহারউপযোগী স্ক্রীন রেকর্ডার। এইটার ইউয়াই বেশ ভাল এবং এতে কিছু এডিটিং ফিচারও দেওয়া আছে। আপনি যদি হাই কোয়ালিটি রেটিনা ভিডিও বানাতে চান তাহলে এইটা ব্যবহার করতে পারেন। তবে এইটা ব্যবহার করতে হলে আপনাকে প্রায় ১৩০ ডলার খরচ করতে হবে। তাছাড়া আপনি এটা ব্যবহার করতে পারবেন না।
তো এই ছিল ২০২১ সাল পর্যন্ত সেরা কিছু স্ক্রীন রেকর্ডিং সফটওয়্যার। তাই যদি আপনার স্ক্রীন রেকর্ডিং বা স্ট্রিমিং এর ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি লেখাটি আপনার কাজে এসেছে। যদি এসে থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কেননা আপনাদের প্রতিটি শেয়ার আমাদের অনেক সাহায্য করে।