উইন্ডোজ ১১ এর ঘোষণা ইতমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে মাইক্রোসফট। আর নতুন উইন্ডোজ এ বেশ কিছু ফিচার যুক্ত করা হয়েছে এবং বেশ কিছু ফিচার বাদ দেওয়া হয়েছে। যার অনেকটাই অনেক ক্ষেত্রে ভাল প্রভাব ফেলবে। যেসকল ফিচার বাদ দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি হলো, ইমুলেটর আর চালানো যাবে না উইন্ডোজ ১১ তে। তবে চলুন জেনে নেই এর কিছু ভাল দিক এবং খারাপ দিক।
সবার আগে চলুন জেনে নেই যে উইন্ডোজ ১১ তে ইমুলেটর ব্যবহার ব্যান করা হয়েছে কেন? এর পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে। যেগুলো একে একে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। আমরা যারা ইমুলেটর ব্যবহার করে গেমিং করে থাকি, আমরা গেমিং এর সময় বেশ কিছু সুবিধা পেয়ে থাকি। যেমন আমরা অনেক সময়েই ম্যাক্রো ব্যবহার করে থাকি। আবার আমরা অনেক সময় এক্সটার্নাল ফাইল দিয়ে হ্যাক বা গ্লিচ ফাইল ব্যবহার করে থাকি। যার ফলে যখন আমরা চিট করছি বলে রিপোর্ট করা হয় তখন গেমের কর্পরেশান চেষ্টা করেও আমাদের এই ফাইলগুলো খুজে পায় না। কেননা যখন আমরা ইমুলেটর ব্যবহার করি তখন ইমুলেটর থেকে আমাদের মেইন সিস্টেমের ফাইল দেখা যায় না। যতই সেটা সেই ইমুলেটরের সিস্টেম ফাইল হোক না কেন। আর একারণেই আমাদের ইমুলেটর ব্যবহার করার সুজোগ উইন্ডোজ ১১ তে আর থাকছে না।
যদি আমরা ইমুলেটর ব্যবহার করতে না পারি তাহলে আমাদের সবথেকে বড় সমস্যা যেটা মনে হতে পারে সেটা হলো যে আমরা আর কখনো ফোনের গেম আমাদের কম্পিউটারে খেলতে পারব না। তবে যদি আমরা একটু উইন্ডোজ ১১ এর নতুন ফিচার দেখি তাহলে দেখতে পাব যে আমরা উইন্ডোজ ১১ তে যেকোন অ্যান্ড্রোইড অ্যাপ্লিকেশান ব্যবহার করতে পারব। এতে আমরা বেশ কিছু সুবিধা পাব।
প্রথমত আমাদের ইমুলেটর ব্যবহার করতে হবে না আর আমরা সরাসরি উইন্ডোজ এই গেমগুলো খেলতে পারব তাই এখানে কোন থার্ড পার্টি থাকছে না। তাই আমাদের গেমিং এক্সপেরিয়েন্স ইমুলেটরের চাইতে ভাল হবে কেননা ইমুলেটর অতিরিক্ত মেমরি ও সিপিউ এবং জিপিউ দখল করে থাকে। যখন আমরা ইমুলেটর ব্যবহার করব না তখন ইমুলেটরের দখল করা মেমরি ও কোর আমরা চাইলে আমাদের গেমে বা অন্য কোন অ্যাপ্লিকেশান এ ব্যবহার করতে পারব।
আর সবথেকে বড় যে সুবিধা আমরা পাব সেটা হলো আমরা হয়ত ই-স্পোর্টসে খেলার সুজোগ পেতে পারি। আপনি যদি এই লেখার প্রথম অংশ পড়ে থাকেন তাহলে আপনি জেনেই গেছেন যে আসলে এর কী কী সমস্যা আছে। আর এইসকল খারাপ দিকের কারণে মোবাইল ফোনের যেসকল গেমের ই-স্পোর্টস হয়ে থাকে সেসকল গেম গুলোর ই-স্পোর্টস পিসি প্লেয়ার তথা ইমুলেটর প্লেয়াররা খেলতে পারে না। যখন আমরা সরাসরি অ্যান্ড্রোইডের গেমগুলো আমাদের উইন্ডোজ সিস্টেমে খেলতে পারব তখন আমাদের চিট করার কোন উপায় থাকবে না। তখন হয়ত আমাদেরও ই-স্পোর্ট খেলার সুজোগ থাকবে।
তো এই ছিল ইমুলেটর ব্যান হওয়ার কারণ ও প্রভাব। আপনার যদি লেখাটি ভাল লেগে থাকে তাহলে নিজের ফেসবুক বা অন্য যেকোন সামাজিক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করুন। আর আমাদের সাথেই থাকুন।