নতুন ফোনের চেয়ে পুরোনো ফোনের দাম একটু কম হয়ে থাকে। সে কারণে অনেকের পুরোনো ফোন কেনার প্রতি একটু বেশিই ঝোঁক থাকে।
পুরোনো ফোন কেনার ক্ষেত্রে আমরা প্রায় ৫টি ভুল করে থাকি। এই ভুলগুলো কী কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
প্রমাণপত্র দেখে না নেওয়া
পুরোনো ফোন অথবা সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার আগে ক্রেতার অবশ্যই প্রমাণপত্র দেখে নেওয়া উচিত। বেশিরভাগ সময় এই ফোনগুলোর প্রমাণপত্র হিসেবে বিল চাওয়া হয় না। ফলে ফোনটি আসলেই কেনা হয়েছে না কি চুরি করে আনা হয়েছে সেটি স্পষ্ট থাকে না। ফোনটি চুরি করে আনা হলে পরবর্তী ব্যবহারকারী হিসেবে আপনিই বিপদে পড়বেন।
ফিজিক্যাল কন্ডিশন না দেখা
সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার সময় অনেকেই এর ফিজিক্যাল কন্ডিশন দেখেন না। ফোন কেনার সময় এটি পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুরোনো ফোনের উপরের অংশ প্রায়ই ভাঙাচোরা থাকে। অনেক সময় পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর মাইক্রোফোন, প্রসেসর বা ক্যামেরার ক্ষতি হয়। তাই পুরোনো ফোন কেনার সময় এর ফিজিক্যাল কন্ডিশন দেখে নেওয়া জরুরি।
ফোনের পার্টস না দেখা
ফিজিক্যাল ড্যামেজ দেখার সঙ্গে সঙ্গে ফোনের পার্টস দেখে নেওয়া জরুরি। পুরনো ফোন কেনার সময় অনেকেই এই কাজ করেন না। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফোন কিনতে যাওয়ার সময় একটি হেডফোন ও চার্জিং পোর্ট সঙ্গে নিয়ে যাওয়া উচিত।
টাচস্ক্রিন না দেখা
পুরনো ফোন কেনার সময় টাচস্ক্রিন ফাঁটা রয়েছে কি না সেটি দেখে নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু অনেকেই সেটি দেখেন না। মাঝেমধ্যে নতুন ডিভাইসের টাচস্ক্রিনও ডিফেক্টিভ হয়ে থাকে। সে কারণে পুরনো ফোন কেনার সময় স্ক্রিনের প্রতিটি অংশ খুটিয়ে দেখা উচিত।
ক্যামেরা অ্যাপটি না দেখা
পুরনো ফোনে অ্যাপের অবস্থা ভালো থাকে না। বিশেষ করে ফোনে ক্যামেরার অবস্থা খারাপ থাকতে পারে। কিন্তু অনেকেই ফোন কেনার সময় ক্যামেরার ব্যাপারে চিন্তা করেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের সবার পকেটে পকেটে ক্যামেরা এনে দিয়েছে। তাই যেকোনো অনুষ্ঠানে ছবি তোলার জন্য ফোনের ক্যামেরা অ্যাপটি দেখে নেওয়া জরুরি। সেকেন্ড হ্যান্ড ফোনে কখনো কখনো ক্যামেরার ফোকাস ও সেন্সরে সমস্যা থাকতে পারে। তাই ক্যামেরা না দেখে নিয়ে পুরনো ফোন কেনা ঠিক নয়।