অক্টোবরের শুরুতেই ব্যবহারকারীদেরকে উইন্ডোজ ১১ দেওয়া শুরু করবে মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ ১১ প্রি-লোডেড হার্ডওয়্যারও কিনে কিংবা উইন্ডোজ ১০ পিসিতে আপডেট করে নেওয়া যাবে এটি।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট বলছে, উইন্ডোজ ১০ থেকে অসাধারণ শিক্ষা গ্রহণ করে সর্বোচ্চ ভালো অভিজ্ঞতা দিতে চায় তারা। সব উপযোগী ডিভাইসে উইন্ডোজ ১১ আপগ্রেড ২০২২ সালের মধ্যবর্তী সময় নাগাদ চলে আসবে।
যেসব পিসিতে ‘অসমর্থিত’ সিপিইউ থাকবে, সেগুলোতে পিসিতে উইন্ডোজ ১১-এর আপডেট পাওয়া যাবে না। এ ছাড়া সম্ভবত পুরোনো প্রসেসর সংবলিত কিছু পিসিতে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করার সুযোগ দিতে পারে, তবে তার মানে এই নয় যে, নতুন পিসিতে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে সেসব সুবিধা ওই পিসিতে পাওয়া যাবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদন বলছে, বিদ্যমান উইন্ডোজ ১০ পিসিতে নতুন সংস্করণ এসেছে কি-না তা জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে ব্যবহারকারীরা পিসি হেলথ চেক অ্যাপের মাধ্যমেও জেনে নিতে পারবেন।
উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা নিচের ৩ ধাপে উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করতে পারবেন-
১. আপনার কম্পিউটারের কনফিগারেশন চেক করে দেখুন উইন্ডোজ ১১-এর উপযোগী কি-না। পিথি হেলথ চেক টুলটি- https://aka.ms/GetPCHealthCheckApp লিংক থেকে ডাউনলোড শেষে ইনস্টল করে চেক করুন।
২. কম্পিউটার স্টাট/রিস্টার্টের মুহূর্তে কিবোডের F2 কিংবা Delete বাটন চেপে মাদারবোডের বায়োসে প্রবেশ করুন। সেখানের Peripherals বা অন্য কোনো অপশনে গিয়ে Trusted Platform Module (TPM) সংক্রান্ত অপশনটা Enable/On করে দিন। এরপর F10 চেপে সেভ করে বের হয়ে আসুন।
৩. সবশেষে কম্পিউটারের সেটিংসে (Start > Settings) গিয়ে সবার নিচে Windows Insider Program সিলেক্ট করুন। আপনার হটমেইল বা আউটলুক ইমেইল লগইন করা না থাকলে সেখানে সাইন ইন করুন। এরপর Pick your insider settings option এ ক্লিক দিয়ে Beta channel (Recommended) সিলেক্ট করুন। এরপর সেটিংসের (Start > Settings) Windows Update অপশনে গিয়ে আপডেট/আপগ্রেড/ইনস্টল করুন।
কম্পিউটারের ন্যূনতম কনফিগারেশন যা প্রয়োজন
প্রসেসর: ১ গিগাহার্জ বা তারও বেশি গতির ২ বা ততোধিক কোরের ৬৪-বিটের প্রসেসর।
র্যাম: ৪ গিগাবাইট।
স্টোরেজ: হার্ডডিস্কে ৬৪ গিগাবাইট+ ফাঁকা স্পেস।
সিস্টেম ফার্মওয়্যার: ইউইএফআই, সিকিউর বুট বান্ধব।
টিপিএম: ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউল (টিপিএম) ২.০।
গ্রাফিকস: কমপক্ষে ডিরেক্টএক্স ১২ সমর্থন করতে হবে, এর সঙ্গে উইন্ডোজ ডিসপ্লে ড্রাইভার মডেল (ডব্লিউডিডিএম) ২.০ ড্রাইভার থাকতে হবে।
ডিসপ্লে: ৯ ইঞ্চির বেশি এইচডি (৭২০ পিক্সেল) রেজল্যুশন।
এছাড়া উইন্ডোজের আইএসও ফাইল অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে সেটি ISO to bootable USB Tool দিয়ে পেনড্রাইভে বার্ন/রাইট করে গতানুগতিকভাবে সেটা থেকে সেটআপ দেওয়া যাবে।