ব্যবহারকারীদের কাছে নিজেদের নিরাপত্তার পরিচয়টাই বেশি তুলে ধরে মেসেজিং সেবা হোয়াটসঅ্যাপ। মনে করিয়ে দেয়, সেবাটির সব টেক্সট, চ্যাট এবং কল এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড।
তবে, চাইলে আরও নিরাপদ করা সম্ভব সেবাটিকে। অনুপ্রবেশকারীর হাত থেকে বাঁচাতে অ্যাপকে ‘লক’ করে রাখার মতো ফিচার রয়েছে এতে। এক্ষেত্রে ফোনের বায়োমেট্রিক সুরক্ষা প্রক্রিয়া ব্যবহার করে থাকে অ্যাপটি। ফলে ফেইস আইডি বা আঙুলের ছাপ ছাড়া খোলাই যায় না হোয়াটসঅ্যাপ।
বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনের আলোকে চলুন জেনে নেওয়া যাক এ সম্পর্কে।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ‘লক’ করবেন যেভাবে
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ক্ষেত্রে ফোনের ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার’ ব্যবহার করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। এটি করতে-
১. অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ চালু করুন।
২. স্ক্রিনের উপরের অংশে ডান পাশে যে তিন ডটের মেনু রয়েছে, সেখান থেকে সেটিংস নির্বাচন করুন।
৩. অ্যাকাউন্টে ট্যাপ করুন।
৪. প্রাইভেসি অপশনে ট্যাপ করুন।
৫. স্ক্রিনের নিচের অংশ থেকে ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক’ অপশনে ট্যাপ করুন।
৬. ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক স্ক্রিন থেকে চালু করে নিন ‘আনলক উইথ ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ অপশনটি। এজন্য শুধু বাটনটি ডান দিকে সোয়াইপ করে নিলেই চলেবে। এ ধাপে আপনাকে সেন্সরে স্পর্শ করে ফোনে আগে থেকেই দিয়ে রাখা ফিঙ্গারপ্রিন্টটি নিশ্চিত করতে হবে।
৭. অ্যাপ বন্ধ করার কতক্ষণের মধ্যে তাতে ঢুকতে আবার ফেইস আইডি লাগবে তা-ও ঠিক করে দেওয়া যাবে। তিনটি অপশন রয়েছে, প্রথমটি – তাৎক্ষণিকভাবেই, দ্বিতীয়টি এক মিনিট পর। আর তৃতীয়টি ৩০ মিনিট পর।
যেভাবে আইফোনে লক রাখবেন হোয়াটসঅ্যাপ
আইফোনে ফেইস আইডি বা টাচ আইডি দিয়ে ডিভাইস লক রাখা যাবে। এটি নির্ভর করবে ব্যবহারকারী কোন মডেলের ফোন ব্যবহার করছেন তার উপর। আইফোন যেটাই হোক না কেন, প্রক্রিয়া একটাই-
১. আইফোনে হোয়াটসঅ্যাপ চালু করুন।
২. স্ক্রিনের নিচের অংশে ডান দিক থেকে সেটিংস নির্বাচন করুন।
৩. অ্যাকাউন্টে ট্যাপ করুন।
৪. প্রাইভেসি অপশনে ট্যাপ করুন।
৫. স্ক্রিনের নিচ থেকে ‘স্ক্রিন লক’ চাপুন।
৬. স্ক্রিন লক পেইজে হয় ‘রিকয়ার ফেইস আইডি’ না হয় ‘রিকয়ার টাচ আইডি’ অপশনটি দেখতে পাবেন। নিরাপত্তা ফিচারটি চালু করে নিতে বাটনটিকে ডান দিকে সোয়াইপ করে নিন।
৭. কতক্ষণ পরে অ্যাপে প্রবেশ করতে হলে ফেইস আইডি’র প্রয়োজন পড়বে, তা উল্লেখ করে দিন। অপশন পাবেন চারটি – তাৎক্ষণিকভাবেই, এক মিনিট পর, ১৫ মিনিট পর, বা এক ঘণ্টা পর।