প্রযুক্তির এই যুগে আমরা সবাই এখন ইন্টারনেট ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেছি। যুগটাই এখন অনলাইনের, ইন্টারনেট ছাড়া ভাবতেই পারি না। অনেকেই ব্যবহার করি মোবাইল কোম্পানির নানা প্যাকেজ, অনেকেই আবার ব্রডব্যান্ড সংযোগ। মোবাইলের ইন্টারনেট প্যাকেজ আমাদের অনেকের কাছেই ব্যয়বহুল, সেই তুলনায় অনেক ব্রডব্যান্ড লাইন অনেক সাশ্রয়ী। রাউটারে একটা ব্রডব্যান্ডের সংযোগ লাগিয়ে নিলেই হলো, বাসার সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। মুশকিলে পড়তে হয় ইন্টারনেটের গতি নিয়ে। ওয়াইফাই সংযোগে অনেকেই এই গতি সমস্যায় পড়েন।
শুধু শুধু দোষ ওয়াইফাই বা রাউটারের ওপর চাপিয়ে দিলে চলবে না। আাপনার সামান্য ভুলের কারণে ইন্টারনেটে এই গতি সংকট তৈরি হতে পারে।আসলে ওয়াইফাইয়ের গতি কমে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং অজানা কারণ হচ্ছে রাউটার সঠিক স্থানে না রাখা। অনেকেই হয়তো এ কথা জানেন না।
আপনার ঘরের রাউটারটি কোথায় রাখবেন একটু খেয়াল করুন তো। নিশ্চয় ঘরের যে পাশ দিয়ে ইন্টারনেট সংযোগের তার এসেছে তারই আশেপাশে কোথাও হবে। কিংবা যে জায়গাটি কম ব্যবহৃত হয় এমন জায়গায়ই রেখেছেন। মূলত সঠিক স্থানে না রাখাও ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
মূলত রাউটার সব দিকেই সিগন্যাল পাঠিয়ে থাকে। আপনি যদি দক্ষিণ দিকের ঘরটার এক কোনায় রাখেন, তবে ওয়্যারলেস কভারেজের প্রায় অর্ধেকটা বাড়ির বাইরেই থেকে গেল। তবে পুরো বাড়িতে সমান হারে কভারেজ চান, তাহলে মাঝামাঝি কোথাও রাখুন। নির্দিষ্ট কোনো ঘরে প্রয়োজন হলে রাখুন। আর সে কাজটি ইন্টারনেটের সংযোগ নেয়ার সময়েই করা ভালো। কারণ পর্যাপ্ত লম্বা তার থাকতে হবে। যেখানে রাউটার রাখবেন সেটির আশপাশে পাওয়ার আউটলেটও থাকতে হবে।
সেই সঙ্গে একটু উঁচু কোথাও রাখার চেষ্টা করুন। রাউটারের অ্যানটেনাগুলো বিপরীতমুখী করে রাখুন, ওপর-নিচ করে দিন। যেন সব দিকে সিগন্যাল ছড়িয়ে যেতে পারে। রাউটার থেকে নিচের দিকেও সিগন্যাল আসে। দেয়ালের সঙ্গে ছাদের কাছাকাছি লাগাতে পারেন। মাইক্রোওয়েভ বা ইলেকট্রিক জিনিসপত্র থেকে দূরে রাখুন।