যদি আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে অপরিচিত কোনো নোটিশ আসে, কিংবা আপনার অনুমতি ছাড়া কোনো ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্ট লগইনের মেসেজ আসে, বুঝে নিতে হবে জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হতে যাচ্ছে, কিংবা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে পারলে হ্যাক হওয়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
১। প্রথমেই সর্বশেষ কানেক্ট হওয়া ডিভাইসের তালিকা দেখে নিতে হবে। নিশ্চিত হতে হবে আপনার ব্যবহৃত স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও পিসি থেকে লগইন করা আছে কিনা।
২। এরপর সঙ্গে সঙ্গেই ই-মেইলের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে।
৩। যে কোম্পানির তৈরিকৃত ইমেইল ব্যবহার করছেন, তাদের বিষয়টি অবহিত করতে হবে।
৪। পরবর্তীতে আপনার লিস্টে থাকা সবাইকে দ্রুততার সঙ্গে মেইল হ্যাক হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দিতে হবে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
৫। যদি আপনার এই ইমেইল অ্যাড্রেসটি খুব বেশি প্রয়োজনীয় না হয়, তাহলে এটি বন্ধ করে নতুন একটি খোলাই ভালো।
৬। অথবা ইমেইল অ্যাড্রেসটির টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করে নিতে হবে। ফলে আনঅথোরাইসড কোনো স্থান থেকে কেউ এটি ব্যবহারের চেষ্টা করলে আপনার অনুমতি চাইবে। তখন হ্যাক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
৭। অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে কম্পিউটারকে ম্যালওয়্যারের থেকে রক্ষা করতে পারেন। এসব ম্যালওয়্যারের কারণেও অনেক সময় ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৮। মেইলের সিকিউরিটি কোয়েশ্চেন এর প্রতিটির উত্তর দিয়ে রাখতে হবে। এসব ঠিকঠাক থাকলে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলেও ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।