স্মার্টওয়াচকে বলা হয় স্মার্টফোনের বিকল্প। অর্থাৎ স্মার্টফোনে যত কাজ করা যায় তার প্রায় সবই করা যায় স্মার্টওয়াচে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার থেকে শুরু করে ব্লুটুথ কলিং, গান শোনা, স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা কি করে না স্মার্টওয়াচ। আপনার এতো কাজের স্মার্টওয়াচটিকে হ্যাকাররেয়া রেহাই দিচ্ছে না।
তবে অনেকেই বলেন সস্তার স্মার্টওয়াচে এর ঝুঁকি অনেক বেশি। জানলে অবাক হবেন, দামি অ্যাপল ওয়াচ স্মার্টওয়াচেও রয়েছে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি। স্মার্টওয়াচে ফিটনেস, ফোন কল এবং মেসেজের মতো তথ্যের অ্যাক্সেস রয়েছে। তাই এটিকে নিরাপদ রাখা খুবই জরুরি।
জেনে নিন কীভাবে বুঝবেন স্মার্টওয়াচ হ্যাক হয়েছে-
ব্লুটুথ স্মার্টওয়াচ ব্লুটুথ লো এনার্জি নামে একটি প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোনের সঙ্গে কানেক্ট করে। এই প্রযুক্তিটি ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য বিভিন্ন চ্যানেল ব্যবহার করে। ব্লুটুথ এবং ব্লুটুথ লো এনার্জির মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল যে এটি নিয়মিত তুলনায় কম শক্তি ব্যবহার করে। ফলে হ্যাক হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।
যদি মনে করেন, স্মার্টওয়াচের চার্জ আগের তুলনায় কম থাকছে। তাহলে সতর্ক হয়ে যান। স্মার্টওয়াচগুলো অ্যাপ কেন্দ্রিক। বিভিন্ন কন্ট্রোলার অ্যাপ দ্বারা কাজ করে। ফলে হ্যাকাররা অ্যাপগুলোকে হ্যাক করে। ফলে তখন স্মার্টওয়াচের সব কন্ট্রোল তাদের হাতে চলে যায়।
জেনে নিন হ্যাকার থেকে স্মার্টওয়াচ বাঁচাতে কী কী করবেন-
>> যে কোনো স্মার্টওয়াচ কেনার আগে আপনার উচিত তার সম্পর্কে গবেষণা করা।
>> নন-ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচ না কেনাই ভালো। এতে আপনার ঘড়িটি হ্যাক হতে পারে। কারণ এতে তেমন কোনো সিকিওরিটি ফিচার থাকে না।
>> ডিভাইসের ফার্মওয়্যার আপডেট রাখতে হবে।
>> অজানা ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। তাও আবার এমন সব অ্যাপ যা আপনার স্মার্টওয়াচে কানেক্ট হবে।
>> যদি আপনার স্মার্টওয়াচে ওয়াই-ফাইয়ের ফিচার থাকে। তাহলে কখনোই ঘড়িটিকে পাবলিক ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে কানেক্ট করবেন না।
>> স্মার্টওয়াচটিকে ঠিকভাবে চালানোর জন্য ফোনে যে অ্যাপটিকে ডাউনলোড করে রেখেছেন, সেটিকে সময়ে সময়ে আপডেট করুন। নাহলে স্মার্টওয়াচ হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।