ছবি ও ভিডিওর জন্য কোন স্মার্টফোন ভালো হতে পারে এমন প্রশ্নে অধিকাংশের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকবে আইফোন। এ কারণে আইফোনের অন্যান্য অ্যাপের তুলনায় ডিফল্ট ক্যামেরা অ্যাপ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে অ্যাপটি দিয়ে যে শুধু ছবি ও ভিডিও ধারণ করা যায় তা কিন্তু নয়। আরো কয়েকটি কাজ সম্ভব। অধিকাংশ ব্যবহারকারী হয়তো সেসব ব্যবহার করেন না। স্ল্যাশগিয়ারের প্রতিবেদনে আইফোনের ক্যামেরা অ্যাপের এ রকম চারটি ফিচার সম্পর্কে বলা হয়েছে।
পাঠোদ্ধার
ছোট লেখা বা দূরের কিছু দেখতে যাদের সমস্যা হয় তাদের জন্য বেশ কাজের হতে পারে আইফোনের ক্যামেরা অ্যাপ। সড়কের অন্য পাশে সাইনবোর্ডের লেখা পড়তে অসুবিধা হচ্ছে। ক্যামেরা অ্যাপ চালু করে ‘জুম-ইন’ করলে মনে হবে সাইনবোর্ডটি বেশ কাছে এবং লেখা অনেকটাই পরিষ্কার দেখা যাবে। একই কাজ ক্ষুদ্র কোনো বস্তুর ক্ষেত্রেও করা যেতে পারে। যদিও ছবি তুলে জুম করেও দেখা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে বাড়তি ধাপ পেরোতে হবে। আইফোনের ম্যাগনিফাইং ফিচারও রয়েছে। আইওস ১২ ও পরবর্তী সংস্করণে কন্ট্রোল সেন্টার সেটিংস থেকে ম্যাগনিফায়ার অপশন চালু করে নেয়া যাবে। সুবিধাটি মূলত আইফোনের পর্দায় দেখানো বিষয়গুলোকে কয়েক গুণ বড় করে দেখায়।
কিউআর কোড স্ক্যান
পেমেন্ট বা রেজিস্ট্রেশন কাজে কিউআর কোড স্ক্যান খুব সাধারণ একটি কাজ। তবে এর জন্য অনেকে আলাদা অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এ কাজ ডিফল্ট ক্যামেরা অ্যাপ দিয়েও করা সম্ভব। তবে তা কাজ করবে আইওএস ১৩ ও পরবর্তী সংস্করণের আইফোনে। বিজ্ঞাপন বা বক্সের গায়ে যে কিউআর কোড থাকে তা ক্যামেরা অ্যাপের ফ্রেমে রাখলে এর চারদিকে হলুদ রেখা এবং এর নিচে একটি ট্যাগ দেখা যাবে, যার অর্থ কোডটি চিনতে পেরেছে। ট্যাগটিতে টাচ করলে কোডটিতে থাকা ওয়েবসাইট বা তথ্য দেখাবে। তবে যেকোনো কিউআর কোড স্ক্যান করার ক্ষেত্রে সাবধানতা মেনে চলতে বলেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। কারণ কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ বা হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
লেখা সংরক্ষণ
আইওএস ১৫ ও পরবর্তী সংস্করণের আইফোনে লাইভ টেক্সট ফিচার ব্যবহার করা যায়। ক্যামেরা অ্যাপ চালু করে কোনো লেখার দিকে তাক করলে এটি চিনতে পারে এবং হলুদ রঙে হাইলাইট করে। হাইলাইট করা লেখায় টাচ করলে স্ক্রিনের ডান পাশে ওপরের দিকে ‘লাইভ টেক্স’ আইকন দেখাবে। সেখান থেকে প্রয়োজনমাফিক লেখা কপি বা অন্য কোথাও শেয়ার করা যাবে।
অনুবাদ
আইফোনের ডিফল্ট ক্যামেরা অ্যাপে ফিচারটি আইওএস ১৫ ও পরবর্তী সংস্করণে ব্যবহার করা যায়। তবে ফোনের মডেল যদি পুরনো হয় তাহলে কোন কোন ভাষা সমর্থন করে তা আগে দেখে নিতে হবে। যে লেখা অনুবাদ করতে হবে তার দিকে ক্যামেরা তাক করলে আগের মতো হলুদ রঙে হাইলাইট করবে। এখন ‘লাইভ টেক্স’ আইকন থেকে ‘ট্রান্সলেশন’ বাটনে টাচ করলে লেখা আইফোনের ডিফল্ট যে ভাষা নির্বাচন করা থাকবে সে ভাষায় অনুবাদ দেখাবে। তবে লেখার ফন্ট ও স্পষ্টতাভেদে অনুবাদের মান কম-বেশি হতে পারে।