রেডমি এবং শাওমি মোবাইল দুটি নিয়ে আজকে আমরা তুলনা করব। সেই ফোনগুলো হল রেডমি কে ৪০ প্রো প্লাস এবং শাওমি ১২ এক্স নিয়ে। ফোন দুটির মাঝে মূল্যের কিছুটা তারতম্য রয়েছে তবে ফিচারের ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে। আলাদা আলাদা ফিচারে সাজানো হয়েছে ফোন দুটি। একেক ফোনটিতে একেক রকম সুবিধা বেশি পাওয়া যাবে। চলুন তুলনা করা যাক মোবাইল ২ টির মধ্যে।
প্রথমেই আলোচনা করা যাক ডিসপ্লে সেকশন নিয়ে।
রেডমি কে ৪০ প্রো প্লাসঃ উক্ত মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি বিশিষ্ট অ্যামোল্ড ডিসপ্লে যার স্ক্রিন রেজুলেশন দেওয়া হয়েছে ১০৮০X২৪০০ পিক্সেল। এছাড়া এই ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে ১২০ হার্জ এর রিফ্রেশ রেট। উক্ত ফোনটির পি পি আই ডেনসিটি দেওয়া হয়েছে ৩৯৫। কর্নিং গরিলা গ্লাসের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে ফোনটিতে।
শাওমি ১২ এক্সঃ উক্ত মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ৬.২৮ ইঞ্চি বিশিষ্ট ও এল ই ডি ডিসপ্লে যার স্ক্রিন রেজুলেশন দেওয়া হয়েছে ১০৮০X২৪০০ পিক্সেল। এছাড়া এই ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে ১২০ হার্জ এর রিফ্রেশ রেট। উক্ত ফোনটির পি পি আই ডেনসিটি দেওয়া হয়েছে ৪১৯। কর্নিং গরিলা গ্লাস ভিক্টাস এর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে ফোনটিতে।
এবার আলোচনা করা যাক মোবাইলগুলোর বডি নিয়ে।
রেডমি কে ৪০ প্রো প্লাসঃ এই মোবাইলটির আয়তন হবে ১৬৩.৭X৭৬.৪X৭.৮ মিলিমিটার এবং ওজন হবে মাত্র ১৯৬ গ্রাম।
শাওমি ১২ এক্সঃ উক্ত মোবাইলটির আয়তন হবে ১৫২.৭X৬৯.৯X৮.২ মিলিমিটার এবং ওজন হবে মাত্র ১৭৬ গ্রাম।
এবার আলোচনা করা যাক মোবাইলগুলোর হার্ডওয়্যার সেকশন নিয়ে।
রেডমি কে ৪০ প্রো প্লাসঃ উক্ত মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ অক্টাকোর প্রসেসর। জি পি ইউ দেওয়া হয়েছে অ্যাড্রিনো ৬৬০। এই মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ১২ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি ফোন স্টোরেজ এছাড়া অতিরিক্তভাবে ২৫৬ জিবি এর স্টোরেজ ব্যাবহার করা যাবে। এখানে আরো দেওয়া হয়েছে ৪,৫২০ এম এ এইচ এর ব্যাটারি, ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং, ওয়াই ফাই ৬, ব্লুটুথ ৫.১, ফেস আনলক সহ নানাবিধ সুবিধা। ডুয়েল সিম ব্যবহার করা যাবে এই ফোনটিতে। অ্যান্ড্রোয়িড ভার্সন ১১ দেওয়া হয়েছে এই ফোনটিতে।
শাওমি ১২ এক্সঃ এই মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৭০ ৫জি অক্টাকোর প্রসেসর। এই মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ৮/১২ জিবি র্যাম ও ১২৮/২৫৬ জিবি ফোন স্টোরেজ। এছাড়া এখানে আরো দেওয়া হয়েছে ৪,৫০০ এম এ এইচ এর ব্যাটারি, ৬৭ ওয়াটের ফাস্ট চার্জ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আনলক ওয়াই ফাই ৬, ব্লুটুথ ৫.২ এর সুবিধা। ডুয়েল সিম ব্যবহার করা যাবে এই ফোনটিতে। অ্যান্ড্রোয়িড ভার্সন ১১ দেওয়া হয়েছে এই ফোনটিতে।
এবার আলোচনা করা যাক ফোনগুলোর ক্যামেরা সেকশন নিয়ে।
রেডমি কে ৪০ প্রো প্লাসঃ উক্ত মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটাপ যার প্রাথমিক ক্যামেরাটি হবে ১০৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড, একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রাওয়াইড ও অপরটি হবে ৫ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো সেন্সর। সাথে দেওয়া হয়েছে একটি এল ই ডি ফ্ল্যাশ। এখানে ফ্রন্ট ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে ২০ মেগাপিক্সলের। প্রত্যেক ক্যামেরাতেই ১০৮০ পি ৩০ এফ পি এস এর রেকর্ডিং করা যাবে। উভয় ক্যামেরাতেই থাকবে এইচ ডি আর, পোরট্রেইট, প্যানোরামা, ই আই এস, এ আই ক্যামেরা এবং পি ডি এ এফ এর সুবিধা।
শাওমি ১২ এক্সঃ এই মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটাপ যার ক্যামেরাগুলো হবে ৫০ মেগাপিক্সলের, ১৩ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড এবং অপরটি হবে ৫ মেগাপিক্সেলের একটি টেলিফটো ম্যাক্রো সেন্সর। সাথে দেওয়া হয়েছে একটি এল ই ডি ফ্ল্যাশ। এখানে ফ্রন্ট ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড সেন্সর। উভয় ক্যামেরাতে ১০৮০ পি ৩০ এফ পি এস এর রেকর্ডিং করা যাবে। প্রত্যেক ক্যামেরাতেই থাকবে এইচ ডি আর, প্যানোরামা, ৮কে ভিডিও রেকর্ডিং এবং এ আই ক্যামেরা এর সুবিধা।
এবার আলোচনা করা যাক মূল্য নিয়ে।
রেডমি কে ৪০ প্রো প্লাসঃ এই মোবাইলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১,৬১০ টাকা।
শাওমি ১২ এক্সঃ এই মোবাইলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩,১৭৮ টাকা।
এখানে ফোন দুটির মাঝে মূল্যের খুব বেশি তারতম্য নেই এবং ফিচারের ও ভিন্যতা বেশ রয়েছে। দুইটি ফোনের ফিচারই দেওয়া হয়েছে অসাধারণ। তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে রেডমি কে ৪০ প্রো প্লাস মোবাইলটি বেশি ভাল লেগেছে কারণ এর ফিচারটি দেওয়া হয়েছে অত্যাধুনিক।