ইরানের অস্ত্র ব্যবস্থার ওপর সাইবার হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার (২৩ জুন) মার্কিন গণমাধ্যম ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে’র দাবি, ইরানি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়ে তা পুরোপুরি অকার্যকর করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের ওপর সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পরই এই সাইবার হামলা চালানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী কম্পিউটারের ওপর সাইবার হামলা চালিয়ে তা অকার্যকর করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সাইবার হামলা সফল হয়েছে এবং এর মাধ্যমে ইরানের অস্ত্র ব্যবস্থা অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওমান সাগরে দু’টি তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ এবং একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার প্রতিশোধ হিসেবেই সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। ড্রোন ভূপাতিত করার কথা স্বীকার করলেও তেলের ট্যাঙ্কারের বিস্ফোরণের ঘটনা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে ইরান। কিন্তু ওই বিস্ফোরণের জন্য ইরানকেই দোষারোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র দেশ সৌদি আরব।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই ইরানের ওপর আরও গুরুতর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি ঠেকাতে এবং তাদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের জন্য এই নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন রয়েছে।
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সীমা বিষয়ে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে ২০১৫ সালে চুক্তি হয়েছিল ইরানের। সে অনুযায়ী কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয়া হয়েছিল এবং ইরানকে তেল রফতানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র গত বছর ওই চুক্তি প্রত্যাহার করেন এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন। এর ফলে ইরান আবারও অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হয় এবং মুদ্রার মান হ্রাস পায়।
ট্রাম্প বলেন, যদি ইরান একটি সমৃদ্ধ জাতি হতে চায়… তবে সেটি আমার কাছে ঠিক আছে। কিন্তু তারা তা কখনোই হতে পারবে না যদি তারা পাঁচ-ছয় বছর ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে থাকে।