স্মার্টফোনের দ্রুত বর্ধনশীল বাজারগুলোর একটি ইন্দোনেশিয়া। প্রতি বছর দেশটিতে ছয় কোটি ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি হয়। এসব ফোনের অধিকাংশই আসে অবৈধ বা চোরাই পথে। এতে একদিকে যেমন ইন্দোনেশিয়ায় ব্যবসা করা স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অন্যদিকে দেশটির সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। এ সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। কালোবাজার থেকে অবৈধ পথে আমদানি করা স্মার্টফোন কেনা বন্ধ করতে আইন প্রণয়ন করেছে দেশটি। এর মধ্য দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় স্মার্টফোনের কালোবাজারি কমার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা দেশটির অভ্যন্তরে স্মার্টফোন উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্স।
নতুন এ আইনের আওতায় প্রথম ছয় মাস ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন নিবন্ধনের সুযোগ দেবে ইন্দোনেশিয়া সরকার। এ সময় ব্যবহারকারীরা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিফিকেশন (আইএমইআই) নম্বর ব্যবহার করে নিজেদের স্মার্টফোন নিবন্ধন করতে পারবেন। এ সময় বোঝা যাবে কার স্মার্টফোন বৈধ পথে আমদানি করা, আর কারটি অবৈধ পথে। কেননা অবৈধ স্মার্টফোনে এ নম্বর থাকে না। শুক্রবার থেকেই এ সময়সীমা শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়সীমা শেষে অবৈধ স্মার্টফোনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে দেশটি।
দেশের বাইরে থেকে মাত্র দুটি স্মার্টফোন ইন্দোনেশিয়ায় আনতে পারবেন বলেও আইনে বলা হয়েছে। নিয়ম মেনে এসব স্মার্টফোনের কর পরিশোধ করতে হবে। কর পরিশোধের রশিদটি আইএমইআই সার্ভারে বিদেশ থেকে ক্রয় করা স্মার্টফোনের ক্যাটাগরিতে সংযুক্ত করা হবে।
ইন্দোনেশিয়ার শিল্পমন্ত্রী আইলানগ্গা হারতার্তো বলেন, কালোবাজারে স্মার্টফোন বেচাকেনা বেড়ে যাওয়ায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অনেকদিন থেকেই এটা আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছিল। স্মার্টফোনের বাজারে বিদ্যমান প্রতিযোগিতার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রেও এটি বড় একটি সমস্যা ছিল। নতুন এ আইন এসব সমস্যার সমাধান করবে। কালোবাজারির ঝুঁকি কমে আসবে। ফলে বিনিয়োগকারীদের কাছেও ইন্দোনেশিয়ার স্মার্টফোন বাজার বিনিয়োগের নিরাপদ জায়গা হিসেবে বিবেচিত হবে।
দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাজস্ব শাখার মহাপরিচালক হেরু পামবুদি বলেন, এ আইন বাস্তবায়ন হলে আর কেউ কালোবাজার থেকে স্মার্টফোন কিনতে পারবেন না। সবাইকেই আইএমইআই নম্বর মিলিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হবে।