বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে মাত্র ১৩ শতাংশ। তবে ৫৮ শতাংশ নারী মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ সম্প্রতি তিন মহাদেশের ১৮ দেশের ২০ হাজার মানুষের ওপর এক জরিপ পরিচালিত করেছে। সেখান থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সেখানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে আর সেখানে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের হার ৩০ শতাংশ।
ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নারী ও পুরুষের ব্যবধান ৫৮ শতাংশ। আর স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ পিছিয়ে।
তালিকায় আরও দেখা গিয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহার এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারী পুরুষের বৈষম্য বিবেচনায় তিন মহাদেশের নির্বাচিত ১৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম। সেখানে বাংলাদেশের পরের অবস্থানে কেবল রয়েছে পাকিস্তান।
সেখানকার নারীরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় ৩৭ শতাংশ পিছিয়ে থাকলেও ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই ব্যবধান ৭১ শতাংশ।
তবে এই তালিকায় বাংলাদেশ-পাকিস্তানের চেয়ে মিয়ানমার অনেকটাই এগিয়ে।
সেখানকার ৭৪ শতাংশ নারী মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে এবং পুরুষের তুলনায় তারা মাত্র ১৫ শতাংশ পিছিয়ে। আর দেশটির ৫৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৫ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
তবে এশিয়ার অন্য তিন দেশ চীন, ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার অবস্থা ভালো।
এদিকে আফ্রিকার দেশগুলোতে নারী-পুরুষ প্রায় সমান হলেও নারীরা ল্যাতিন আমেরিকায় আবার সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে। মেক্সিকোতে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে নারী ও পুরুষের অবস্থান সমানে সমান।
আবার আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলে নারীরা মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার দুই ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছে। আর্জেন্টিনায় ৮৮ শতাংশ নারী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং সেখানকার ৮৭ শতাংশ পুরুষ মোবাইল ব্যবহার করে। আর ইন্টারনেট ব্যবহারে নারীরা ৮১ শতাংশ এবং পুরুষরা ৮০ শতাংশ।
এদিকে, ব্রাজিলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে ৮৬ শতাংশ নারী এবং ৮৪ শতাংশ পুরুষ। একইভাবে ৭০ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করছে এবং পুরুষদের মধ্যে এই হার ৬৯ শতাংশ।