বেপরোয়া হয়ে উঠছে সাইবার অপরাধীরা। প্রতিদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জমা পড়ছে শতশত অভিযোগ। ছোটখাটো ঝামেলা, সম্পর্কে টানাপোড়েন হলেই প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে তরুণরা। এমনকি স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হলে তাকে অনলাইন মাধ্যমে হেনস্তা করছে স্বামী। পুলিশ বলছে, শিক্ষিত লোকজনের মধ্যেই এ ধরনের অপরাধপ্রবণতা বেশি।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাশবনে ঘুরতে গিয়ে শ্লীলতাহানীর শিকার হন এক তরুণী। মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে বখাটেরা। এ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসায় ভিডিওটি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে পারেনি অভিযুক্তরা । তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। লজ্জায় কারো কাছে সেটা বলতেও পারেন না।
ভুক্তভোগী একজন জানান, ছবিটা এডিট করে বলছে, ভাইরাল করে দেয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে টাকাও নিয়েছে। পরে সিআইডিতে অভিযোগ করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এবং মামলা করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি, সাইবার বুলিং, যৌন হয়রানি হচ্ছে হরহামেশা। ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে মানহানি, বিভ্রান্তিকর পোস্ট, গুজব ছড়ানোর ঘটনা তো আছেই।
জঙ্গী কার্যক্রম, প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের অভিযোগ জমা পড়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। শুধু সিআইডিতেই প্রতিদিন সাইবার অপরাধের ৫০ থেকে ৬০টি অভিযোগ দিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
এডিশনার আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, বর্তমানে সময়ে সাইবার ক্রাইমের ট্রেন্ড চলছে। ব্যক্তিগত ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে নিয়ে আসে।
প্রেমিক কিংবা স্বামীও হয়রানি করার জন্য বেছে নিচ্ছেন এই মাধ্যম। বনিবনা না হলেই ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দিচ্ছেন।
এডিশনার আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেশিভাগই শিক্ষিত লোকজন।
পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নৈতিক শিক্ষায় জোর দিলেই এমন সাইবার অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।