মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার তাঁত শিল্প আগের সেই ঐতিহ্যকে হারাতে বসেছে কারন অধিক হারে কলকারখানার উপস্হিতি। আমাদের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প হারিয়ে যেতে বসেছে কালের বিবর্তনে। দেশি বিদেশি পোশাকের ভিড়ে চাহিদা হারিয়েছে এ উপজেলার কোলাপাড়া, যশুরগাঁও, শ্রীধরপুরের উৎপাদিত তাঁত পণ্য।
ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের সঙ্গে এখনো জড়িয়ে আছে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বেশ কয়েকটি পরিবার।যারা এখনো এই তাঁতশিল্পকে পূঁজি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।তাদের তৈরি গামছাশ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের শ্রীধরপুরে দেখা গেছে সেখানকার কয়েকটি পরিবার আজও নিজেদের জড়িয়ে রেখেছেন ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের সঙ্গে। এখনকার আধুনিক কল-কারখানায় স্বল্প খরচে শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা তৈরি হচ্ছে।এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কম দামে ভারতীয়-জাপানি কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে এখানকার তাঁত পণ্যের চাহিদা কমে গেছে।
শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের শ্রীধরপুরে কিছু পরিবার আজও নিজেদের জড়িয়ে রেখেছেন ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের সঙ্গে । অত্যাধুনিক কল-কারখানায় স্বল্প খরচে শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা তৈরি হচ্ছে।শ্রীনগরের তাঁতের তৈরি গামছা ও লুঙ্গির চাহিদা ছিল প্রচুর।ব্যবসায়ীরা এসে এসব গামছা ও লুঙ্গি নিয়ে যেতেন অনেক দূর থেকে এসে। স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করতেন এ উপজেলার ব্যবসায়ীরাও। সময় ও আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে পুরোনো সেই আধিপত্য হারিয়ে ফেলেছে এসব তাঁত পণ্য। এ কারণে জীবিকার তাগিদে পূর্বপুরুষের ঐতিহ্যবাহী পেশা ছেড়ে চলে গেছেন ভিন্ন পেশায়।
এখন থেকে যদি বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋন এবং অনুদান পাওয়া সম্ভব হয় বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী তত্তাবধানে তাহলে এ অঞ্চলে তাঁত শিল্পকে পূনরুজীবিত করা সম্ভব। কারন তাঁতের গামছা ও লুঙ্গি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে তাই এ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও সহজ হবে। প্রচারের ফলে সবাই জানবে আমাদের তাঁত শিল্প নিয়ে যা একসময়ের মুন্সীগঞ্জ উপজেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস ছিলো যা বর্তমানে আবারো ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
লেখক
শারমিন ইসলাম অমি