আপনি একটা ওয়েবসাইট তৈরি করলেন যেটা অনেক তথ্যবহুল এবং আশা করেছিলেন যে, হাজার হাজার ভিজিটর পাবেন, কিন্তু তা পাচ্ছেন না। কারণ এখনও একটা গুরত্বপূর্ণ কাজ বাকি আছে যেটা আপনার সাইটকে হাজারো ভিজিটর দেবে তাহল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)।
আমরা এখন দেখে নেই এসইও কি
পূথিবীতে অনেক সার্চ ইঞ্জিন আছে। সবচেয়ে বিখ্যাত হল- গুগল, এরপর আছে ইয়াহু,বিং ইত্যাদি। কেউ যদি বাংলায় এইচটিএমএল শিখতে চান তাহলে হয়ত সে “এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল” লিখে গুগলে সার্চ দেবেন। কারণ সে হয়ত বাংলায় এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল আছে এমন কোন ওয়েবসাইটরে ঠিকানা জানেনা। এখন ধরুন আপনার একটা ওয়েবসাইট আছে যেখানে বাংলায় এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল আছে।
এখন যদি “এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল” লিখে গুগলে সার্চ দিলে যদি প্রথম পেজের প্রথম লিংকটাই আপনার সাইটের হয় তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারেন যে ওই ইউজার যে “এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল” দিয়ে খুঁজছিলেন সে অবশ্যই আপনার সাইটে যাবেনই। এই যে একজনের সাইট গুগলে সবার আগে দেখাল অথচ বাংলায় এইচটিএমএল টিউটোরিয়াল আছে এমন বহু সাইট, ব্লগ, ফোরাম ইত্যাদি থাকার পরেও, যে সাইট আগে দেখালো সে সাইটে কিছু কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল এসব কৌশলকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) প্রধানত দুই ধরনের।
১. অন পেজ এসইও : যেটা সাইটের ভেতরেই করা হয়। যেমন- টাইটেল ট্যাগ, কনটেন্ট, কিওয়ার্ড ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক হওয়া ।
২. অফ পেজ এসইও : যেটা সাইটের বাইরে করা হয়। যেমন ব্লগ, ফোরাম পোস্টিং ইত্যাদি।
এখানে শুধু অর্গানিক সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Organic SEO) এর টিউটোরিয়াল থাকবে, পেইড সার্চইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Paid SEO) নয়।
পেইড এসইও
গুগলে সার্চ দিলে মাঝে মাঝে দেখবেন সার্চ রেজাল্টের ডানে বা উপরে ভিন্ন রঙ (সাধারনত হালকা খয়েরি) কিছু লিংক থাকে (যে শব্দ দিয়ে সার্চ দিয়েছেন সেটা সংশ্লিষ্ট)। এগুলি পেইড লিংক অর্থ্যাৎ এর জন্য গুগলকে অর্থ দিতে হয়েছে। এই ধরনের অপটিমাইজেশনকে পেইড এসইও (Paid SEO) বলে।
অর্গানিক এসইও
যে লিংকগুলি সার্চ রেজাল্ট পেজে সাধারণভাবে প্রদর্শিত হয়। মানে গুগল এগুলি কোন বিশেষ রঙ দিয়ে হাইলাইট করে না। এগুলি অর্গানিক লিংক। এই ধরনের অপটিমাইজেশনকে অর্গানিক এসইও (Organic SEO) বলে। এটাকে এলগরিদমিক এসইওও বলে।
লেখক : সৌরভ হোসেন, কন্টেন্ট রাইটার, ডিজিটাল স্কিলস ফর বাংলাদেশ গ্রুপ