ফেসবুককে ‘প্রাইভেসিকেন্দ্রিক প্লাটফর্মে’ রূপান্তর করতে চান সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ।
সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে নিরাপদ ব্যক্তিগত বার্তা আদান-প্রদানের সেবা উন্মুক্ত প্লাটফর্মের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হবে। খবর বিবিসি।
সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো একাধিক জনপ্রিয় বার্তা আদান-প্রদানের সেবা। সেবাগুলোয় এনক্রিপশন সুবিধা যুক্ত করায় নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অর্থ আয়ের সুযোগ কমেছে।
বিপুলসংখ্যক গ্রাহক তথ্যের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ফেসবুক নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। গত বছর ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা নামে একটি রাজনৈতিক পরামর্শক এবং তথ্য বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমে ফেসবুকের পাঁচ কোটি গ্রাহকের তথ্য বেহাতের ঘটনা প্রকাশ পায়।
পরবর্তীতে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সময় ফেসবুকের মোট নয় কোটি গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে। এর পর থেকেই ফেসবুকের কার্যক্রম ঘিরে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। প্লাটফর্মটিতে পরিবর্তন আনার জোর দাবি ওঠে।
ব্লগ পোস্টে জাকারবার্গ বলেছেন, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম মানুষকে বন্ধু ও কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত হতে সহায়তা করছে। গ্রাহকরা তাদের পছন্দের ভিত্তিতে যোগাযোগের সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু মানুষের এখন নিজের শোয়ার ঘরের মতো ডিজিটাল ক্ষেত্রেও ব্যক্তিগত যোগাযোগের সুবিধা চাওয়া বেড়েছে। যে কারণে তিনি সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুককে প্রাইভেসিকেন্দ্রিক করতে চান এবং তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে আরো নিরাপদ করতে চান। গোপনীয়তা রক্ষা এবং ফেসবুক ঘিরে সৃষ্ট সমালোচনার সমাধানে গ্রাহকের স্পর্শকাতর তথ্য সংরক্ষণ না করার কথা জানিয়েছেন। নতুন সিদ্ধান্তের কারণে কয়েকটি দেশে ফেসবুকের কার্যক্রম বন্ধ হতে পারে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি মেনে নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ।