আমাদের দেশের ৬৪জেলায় এত ধরণের পণ্য রয়েছে এবং এসব পণ্যের ই-কমার্সে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। এসব পণ্যের ভবিষ্যৎ অনলাইনে উজ্জ্বল এ নিয়ে আমরা নিশ্চিত কারণ গত দেড় বছরে দেশি পণ্যের জনপ্রিয়তায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
ফেনী জেলার অর্থনীতি পুরোপুরি প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা নির্ভর এবং কৃষিনির্ভর। জেলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে প্রচুর পণ্য যা ই-কমার্সের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব সারাদেশে এমনকি দেশের বাইরেও। ফেনীতে আমন ধান সবচেয়ে বেশি হয়, এর মধ্যে উফশী ও নেরিকা জাতের ধান বেশি হয়ে থাকে।
এছাড়াও কয়েক ধরণের চাল হয়। তবে এর মধ্যে ফেনী জেলার নিজস্ব এক ধরণের সুগন্ধি চাল রয়েছে যা জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে পরিচিত। আদতে এটির নাম “সমুদ্র বালি গুড়ি”। এটি সমুদ্র, নদীর পাড়ে অর্থাৎ চরাঞ্চলে জন্মায়। ফলে এই ধরণের নামকরণ এটির।এই চাল জেলার সোনাগাজী উপজেলায় কয়েকটি গ্রামে চাষ হয়ে থাকে। পাশাপাশি আরো অনেক গ্রামেই এর চাষাবাদ শুরু হয়েছে।
এই চাল থেকে ভাত তো খাওয়া যায়ই পাশাপাশি পোলাও, জর্দা, পায়েস, বিরিয়ানি সহ নানান সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়।মজার ব্যাপার এই চাল খুব অল্প সময়ে সেদ্ধ হয়ে যায়৷ এই চালের ধান আমন ও বোরো দুই মৌসুমেই চাষ হয়। এই চাল সোনাগাজী উপজেলায় বেশি চাষ হয় অন্যান্য উপজেলার তুলনায়। মির্জাপুর গ্রাম, আদর্শগ্রাম এবং মুহুরি নদীর আশপাশের কিছু গ্রামে এই চাল এর উৎপাদন হয়ে থাকে। এই চালের আসল নাম সমুদ্র বালি গুড়ি হলেও একে চিনি আতপ, চিনিগুড়া, গুড়ি চাল, আলো চাল নামেও ডাকা হয়।
ধান শুকিয়ে তারপর এই চাল তৈরি করা হয়। এই ধান কেটে ঝাড়াই করার পর রোদে ফেলে শুকিয়ে নিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে ঐ শুকনো ধান ১২-১৪% আদ্রতায় আসার পর সরাসরি ঢেঁকিতে বা আধুনিক ধানভাঙা কলে ভাঙিয়ে তৈরি হয়।দুঃখজনক হলেও এই চাল নিয়ে এখন পর্যন্ত ই-কমার্সে কোনো উদ্যোগ নেই, তাই ফেনী জেলার এই নিজস্ব চালকে তুলে ধরতে প্রয়োজন দক্ষ লোকবল ও মানসম্মত কন্টেন্ট। জেলা পণ্য হিসেবে সমুদ্র বালি গুড়ি চাল ফেনী জেলার ই-কমার্সে ভূমিকা রাখতে সক্ষম।