হাট করে বাড়িতে আসার সময় হাতে বাজিয়ে বাড়ির মেয়েদের জন্য গরম গরম জিলাপি, বড়া, সমুচা ইত্যাদি আনাতে যেমন পরমতৃপ্তি থাকে তেমনি খাওয়ার জন্য অপেক্ষায়ও থাকে পরম আনন্দ।
হাট আর বাজারের মধ্যে বড় পার্থক্য হলো বাজার সবসময় খোলা থাকে আর প্রতিদিন বসে কিন্তু হাট সপ্তাহের নির্দিষ্ট সময় ধরে বসে আর সেটা হতে পারে সপ্তাহে কিংবা মাসে একদিন দুইদিন।
১। তক্তারচালা আসবাবপত্রের হাট
টাংগাইলের সখীপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নে তক্তারচালা হলো দেশের বৃহত্তম কাঠের ফার্নিচার হাট যার সুনাম ছড়িয়ে রয়েছে সারা দেশে।প্রতি সপ্তাহের শনিবারের হাটে প্রায় কোটি টাকার কেনাবেচা হয়। আসবাবপত্র আসতে শুরু করে হাটের আগের দিন থেকেই আর বেচাকেনা চলে হাটের রাত পর্যন্ত।
সাধ্যের মধ্যে ভালো ফার্নিচার পাওয়া যায় বলে বেশ সুনাম রয়েছে এই হাটের। মূলত আসবাবপত্রের ওপর নির্ভর করে দাম কম বেশি হয়ে থাকে তাই উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সব শ্রেণির লোকজনই এ হাটের ক্রেতা হতে দেশের প্রায় সকল জেলা থেকে ও লোকজন আসে। আবার ফার্নিচার মান ভাল হওয়ায় ও চাহিদা বেশি থাকায় এখানে দামও একটু বেশি।
কাঠের মধ্যে খোদাই করা বাহারি নকশাকৃত সংসারের যাবতীয় সবকিছু পাওয়া যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ২০ কিমি উত্তরে সখীপুর উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত এই তক্তারচালা হাটে।ভৌগোলিক অবস্থান এবং যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় আসবাবপত্রের জন্য অন্যতম বৃহত্তম বাজার হয়ে উঠতে পেরেছে তক্তারচালা হাট।
২।গোবিন্দাসীর গো হাট
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের গোবিন্দাসীতে রয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর এ গো হাটটি।অত্র এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি এ গো-হাট। টাঙ্গাইল শহর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ৩১ কিলোমিটার, ভূঞাপুর উপজেলা সদর থেকে ৬ কিলোমিটার এবং বঙ্গবন্ধুসেতু থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে যমুনার কোল ঘেঁষে এ হাটের অবস্থান।
গোবিন্দাসীতে প্রতি সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবার হাট বসে। তবে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের এক মাস আগে থেকে প্রতিদিনই গরু কেনা-বেচা হয়।সিলেট, রাজশাহী, রংপুর বিভাগ ছাড়াও ভারত থেকে হাজার হাজার গরুর সমাগম ঘটে এ হাটে। গরুর ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো গোবিন্দাসী গো-হাট। গোবিন্দাসীসহ এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এ হাট।
ষাটের দশকে গোবিন্দাসীতে ছোট আকারে একটি বাজার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮০ সালের আগ পর্যন্ত এটি ছোট বাজারই ছিল। ১৯৯১ সালের প্রথম দিকে সপ্তাহে দুইদিন রোববার ও বৃহস্পতিবার হাট বসানো হয়। সেসময় সাধারণত বিকেলে হাট বসতো।১৯৯৫ সালে সরকারিভাবে গোবিন্দাসী হাটের প্রথম ইজারা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইকরাম উদ্দিন তারা মৃধা গোবিন্দাসী হাটটি মাত্র ৩২ হাজার টাকায় ইজারা নেন। ইজারার টাকা ওঠাতে তিনি হাটটির ব্যাপক প্রচারণা চালান।
গোবিন্দাসী হাটটিতে নদী ও স্থল পথে যাতায়াতের সুবিধা বিবেচনা করে দেশের সিলেট, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। ধীরে ধীরে গোবিন্দাসী গরুর হাটের প্রসারতা বাড়ে, জমে ওঠে গোবিন্দাসী গরুর হাট। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে বছরে পৌনে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত বাৎসরিক ইজারামূল্য হয় এ হাটের।অথচ হাটটির কোনো নিজস্ব সম্পত্তিই নেই। ইকরাম উদ্দিন তারা মৃধার নেতৃত্বে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের প্রচেষ্টায় ভূঞাপুর ফেরিঘাট সড়কের পাশে বিবিএর নিয়ন্ত্রণাধীন বঙ্গবন্ধু সেতুর অধিগ্রহণকৃত তিন সড়কের মাথায় কুকাদাইর মৌজায় স্বল্প পরিসরে গোবিন্দাসী হাট প্রতিষ্ঠা করা হয়।
হাট উন্নয়নে একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও সরকারি সুবিধা না পাওয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়নি।
৩।করটিয়ার কাপড়ের হাট
টাংগাইল জেলা শহর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে করটিয়াতে অবস্থিত প্রায় দুইশো বছরের পুরনো এই হাট,, টাংগাইলে তাতেঁর শাড়ি থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সব কিছু ই পাওয়া যায় এই হাটে।টাংগাইলের করটিয়া হাট প্রায় ১৭৫ বছর আগে করটিয়ার জমিদার শাহাদাত আলী খান পন্নী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই হাটে সত্তরটি মার্কেটে প্রায় ২০ হাজার দোকান রয়েছে।
হাটটি প্রায় ৪৫ একর জমিতে অবস্থিত। হাজার হাজার ব্যবসায়ী এখানে ব্যবসা করছে। শাড়ি ছাড়াও হাঁটটি শালের জন্যও বিখ্যাত। অনেক জেলার কারিগরদের দ্বারা তৈরি শালটি এখান থেকে ভারত, মায়ানমার, ইউরোপ এবং শীতের দেশগুলিতে রপ্তানি করা হয়।
সাধারণত, হাট সপ্তাহে দু’দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়, মঙ্গলবার বিকেলে শুরু হয় এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষ হয়।মঙ্গলবার সারারাত ধরে চলে পাইকারি বেচা কেনা,, বুধবারে পাইকারির সাথে খুচরাও বেচা কেনা হয়। বৃহস্পতিবার কাপড়ের হাটের পাশাপাশি এলাকার লোকজনের জন্য কাঁচাবাজারের হাটও হয়ে থাকে।
দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা এখান থেকে শাড়ি কিনে এনে দেশের সুপার শপে খুচরা মূল্যে বিক্রি করেন। টাঙ্গাইল শাড়ি র পাশাপাশি মুদ্রিত শাড়িও এখানে পাওয়া যায়। টাংগাইলের শাড়িগুলি পাথরাইল, কালিহাতীর বল্লা, রামপুর, এনায়েতপুর, নরসিংদীর বাবুরহাট, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, ঢাকার ইসলামপুর প্রভৃতি থেকে পাওয়া যায়, এই হাটটির বিভিন্ন নকশাযুক্ত এবং রঙিন শাড়ি শহরের মেগা শপিং মলেও এখন পাওয়া যায়।
নিত্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় সবকিছু আপনি অনায়াসে ক্রয় করতে পারবেন সবচেয়ে কম দামে তবে আপনাকে অবশ্যই পাইকারি কিনতে হবে যেমন, আপনি শাড়ি কিনলে আপনাকে পেটি( একই ধরনের শাড়ি থাকে ১০থেকে ১২টা তাকে পেটি বলে) ধরে কিনতে হবে,, এরকম সকল পন্যই বেশি কিনলে আপনি কমে কিনতে পারবেন।
৪।বাজিতপুরের তাঁতের শাড়ির হাট
টাঙ্গাইলের বাজিতপুর রয়েছে প্রায় ১০০ বছরের পুরনো তাঁতের শাড়ির হাট। বাজিতপুরের বটতলায় শুক্র ও সোমবার বসে বাজিতপুর শাড়ির হাট। ভোরে শুরু হয়ে সকাল নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। বাজিপুর হাটের মূল পণ্য তাঁতের শাড়ি।বাজিতপুরের আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম বহুকাল থেকেই তাঁতপ্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত।
টাংগাইলে বহু রকমের তাঁতের শাড়ি তৈরি হয়ে থাকে। দেশ, বিদেশ থেকে হাজারো ক্রেতা বিক্রেতারা এখানে আসে পাইকারি বেচা কেনা করতে। বাজিতপুর হাটে মূলত টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি বিক্রি হয়। ২০ থেকে ২৫ হাজার পেটি (প্রতি পেটিতে ৫টি শাড়ি থাকে) শাড়ি এখানে বিক্রি হয়। শাড়ি তৈরির সুতা, তাঁতের বিভিন্ন উপকরণও বিক্রি হয়। টাংগাইল শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে খুব বেশি দূরে নয় এই বাজিতপুরের হাট।
৫। গয়হাটার নৌকার হাট
টাংগাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটায় শত বছরের নৌকার হাটে পাওয়া যায় বিভিন্ন আকৃতির নৌকা। নাগরপুর উপজেলার এক পাশ দিয়ে যমুনা অন্য পাশ দিয়ে যমুনার শাখা ধলেশ্বরীসহ বয়ে গেছে ছোট বড় বেশ কয়েকটি নদী যার কারণে বর্ষার শুরু থেকেই নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর একমাত্র ভরসার যান হলো নৌকা। পাশের সিরাজগঞ্জের চৌহালী, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন চরাঞ্চল হওয়ায় এসব নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ সাধ্যের মধ্যে নৌকা কিনতে এ হাটে ছুটে আসে। এসব মানুষের মালামাল পরিবহন ও যাতায়াতের একমাত্র বাহন নৌকা।
নাগরপুরের ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাট শুধু নামেই বিখ্যাত নয়, এখানে সাধ্যের মধ্যে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য রয়েছে নানা ধরনের নৌকা। পানি বাড়ার সাথে সাথে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা আগাম প্রস্তুতির জন্য নৌকার হাটে আসতে শুরু করেন। আশপাশের কয়েকটি উপজেলা থেকেও ক্রেতা-বিক্রেতা আসেন এ হাটে। নৌকার কাঠামো তৈরিতে মেহগনি, কড়ই, আমচাম্বল ও রেনট্রি কাঠের ব্যবহার বেশি। মান ও আকার ভেদে একেকটি নৌকা ৪ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।বর্ষার সময় নৌকা ছাড়া চলাফেরা করার কোনো উপায় থাকে না। গয়হাটা হাটটি এলাকার মানুষের ঐতিহ্যের সাথে মিশে রয়েছে।
৬। জলছত্র আনারসের হাট
টাংগাইলের মধুপুর উপজেলায় আনারস বিক্রির জন্য জলছত্র হাট , গারো বাজার, মধুপুর বাজারের মধ্যে জলছত্র হাট বিখ্যাত ও সবচেয়ে বড় যেখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে আনারস ক্রয় করে নিয়ে যায়।সপ্তাহে দুইদিন এই হাট খোলা থাকে। তবে ভরা মৌসুমে মানে আনারস পাকার মৌসুমে প্রতিদিন এই হাট বসে।
বর্ষাকাল আনারস চাষের মৌসুম হলেও সম্পূর্ণ উপজেলা জুড়ে সারাবছরই আনারস চাষ করা হয়।বিশেষ করে সম্পূর্ণ শ্রাবণ মাস জুড়ে এই হাট হয়। ভোর থেকে শুরু হয় এই হাটের আয়োজন। সকাল ৮ টা নাগাদ হাট পুরো জমজমাট হয়ে যায় পাইকার ও বিক্রেতাদের নিয়ে।হাটের যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই শুধু স্তুপ করে করে রাখা হয়েছে আনারস।
রসে ভরা এই মিষ্টি স্বাদের আনারস গুলোর মধ্যে সবচেয়ে চাহিদা বেশি হানিকুইন আনারসের। স্থানীয়রা একে জলযুগি নামে ডেকে থাকে, এগুলো আকারে ছোট এবং স্বাদে মিষ্টি।তবে এখন চাষীরা জায়ান্টকিউ নামের আনারস চাষের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। সাইকেল কিনবা ভ্যান অথবা পিকাপ নিয়ে হাটে আসা বিক্রেতাদের হাটে পৌঁছার সাথে সাথে পাইকাররা এসে ভীড় জমায়। এজন্য দেখা যায়, হাটে আনা সব আনারস মূহুর্তের মধ্যেই বিক্রি হয় এবং পিকআপ যোগে চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে।
৭।হিংগানগর পাটির হাট
টাংগাইলের দেলদুয়ার উপজেলার হিংগানগর গ্রামে সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শুক্রবার শুধু পাটির হাট বসে। ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, জামালপুরসহ অন্তত ৩০টি জেলার পাইকারী ক্রেতারা পাটি কিনে নিয়ে যায় এই হাট থেকে। এখানকার পাটি অত্যন্ত মসৃন ও দেখতে খুবই সুন্দর তাই এর চাহিদা ব্যাপক।উত্তরবঙ্গে ও হিংগানগরের পাটির ব্যাপক কদর রয়েছে।
বংশ পরস্পরায় প্রায় ২শ’ বছর ধরে গ্রামের প্রায় সাতশ পরিবার এ পেশায় নিয়োজিত আছেন।
টাঙ্গাইল শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিনে সিলিমপুর পার হলেই হিংগানগর গ্রাম। বেত চাষ ও শীতল পাটি বুননই তাদের প্রধান পেশা। পুরুষের পাশাপাশি গ্রামের সব মহিলারাও পাটি বুননের কাজ করে থাকেন। গ্রামে প্রায় ৬শ’ একর জমিতে বেতের চাষ করা হয়।একবার বীজতলা রোপন করলে তা বড় হওয়ার পর ৬০ বছর পর্যন্ত
বেত কাটা যায়। সাধারনত বীজতলা রোপন করার ৪ বছর পর থেকে বেত কাটা শুরু হয়।
প্রথমে বেত কেটে রোদ্রে শুকাতে হয়। এরপর বেতী আটি বেধে ২ দিন টগ জলে ভিজিয়ে রাখতে হয়। তারপর সিদ্ধ করে রোদ্রে শুকিয়ে চিকন বেতী উঠিয়ে বুনতে হয় শীতল পাটি।একটি পাটি বুনতে সময় লাগে দুই দিন।
৮।কুতুব পুরের কলার হাট
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কুতুবপুরে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী কলার হাট। সপ্তাহে দুইদিন কলার হাট বসে কুতুবপুর বাজারে। শনিবার বিকেল থেকে রোববার সকাল এবং মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত চলে হাট। এখানে টাঙ্গাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানের ব্যাপারীরা এ হাটে কলা নিয়ে আসেন।তবে হাটের আগের দিনই কলা বিক্রির জন্য চাষীরা কলা এনে পসরা সাজিয়ে রাখেন। হাটটিতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় কোটি টাকার কলা বিক্রি হয়ে থাকে
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় কলার হাট হিসেবে পরিচিত এখন সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর বাজার। এ হাটে সুখিপুর উপজেলার চাষীরা সহ
ঘাটাইল, মধুপুর, কালিহাতী ও ধনবাড়ি উপজেলা এবং ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, ভালুকা উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চাষী ও ব্যবসায়ীরা কলা বিক্রি করতে আনেন।প্রতি হাটে এখান থেকে ২০-২৫ ট্রাক কলা দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়।হাটটিতে সাতটি কলার আড়ৎ রয়েছে।
প্রতি কাঁদি কলা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০-৫০০ টাকা দরে। কলার কাঁদির ওপর নির্ভর করে দাম কম-বেশি হয়ে থাকে বলে জানান কলা ব্যবসায়ী হোসেন মিয়া। কলাগুলো খুবই উন্নতমানের হওয়ায় দেশের সব জায়গায় রয়েছে এই কলার চাহিদা। এ কারণে এখানে কলার দামও একটু বেশি।
প্রতিটি হাটের রয়েছে আলাদা আলাদা এবং নিজস্ব বৈশিষ্ট্য যা ই-কমার্স সেক্টরে বিশাল ভূমিকা পালন করবে যদি উদ্যোক্তারা সরাসরি তাদের চাহিদা মতো পণ্যগুলো সরাসরি উৎপাদনকারীর থেকে পায় যেখানে হাটগুলো অন্যতম একটি মাধ্যমে হতে পারে।
এতে স্বল্প খরচে ক্রেতার হাতে ভালো জিনিস তুলে দিতে পারবে উদ্যোক্তারা কারন হাটে একসাথে অনেক জিনিস পাওয়া যায় তাও আবার অনেক কমদামে।
লেখক,
সূবর্ণা আক্তার
টাঙ্গাইল ফেব্রিক