বান্দরবানের স্বর্ণ মন্দির নামে সুপরিচিত মন্দিরটি মহাসুখ মন্দির নামেও পরিচিত।এটি চট্টগ্রামের বান্দরবান শহরের বালাঘাটা এলাকায় অবস্থিত।যা বুদ্ধ ধাতু জাদি। ধাতু বলতে কোন পবিত্র ব্যক্তির দেহ বা ব্যবহৃত অংশ বিশেষ বোঝায়। বুদ্ধ ধাতু জাদি বলতে বুদ্ধের অবশিষ্টাংশ দেহের অংশকে স্তুপ নির্মাণ স্থাপনা বিশেষ। এই বৌদ্ধ জাদিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশে সর্বাপেক্ষা বড় একটি হীনযান বৌদ্ধ তীর্থস্থান ।
এটি মহাসুখ মন্দির নামে তার সোনালি রঙের জন্য ‘স্বর্ণমন্দির’ নামে খ্যাত। মিয়ানমার থেকে কারিগর এনে এটি তৈরি করা হয়। ২০০৪ সালে এর কাজ সম্পন্ন হয়। মন্দিরের বাইরের অংশে ভিন্ন ভিন্ন প্রকোষ্ঠে তিব্বত, চীন, নেপাল, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভুটান, মিয়ানমার, কোরিয়া, জাপান ইত্যাদি দেশের শৈলীতে সৃষ্ট ১২টি দণ্ডায়মান বুদ্ধ আবক্ষ মূর্তি এখানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আর মন্দিরের অভ্যন্তরে কাঠের ওপর অসাধারণ সুন্দর রিলিফ ভাস্কর্য কর্ম মিয়ানমারের কাঠের শিল্পকর্মের ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করায়। মন্দির চত্বরের গড়ুড় স্তম্ভ ও পাখি দর্শনার্থীদের বিমুগ্ধ করে। মন্দির থেকে দেখা যায় পুব দিকে বান্দরবান শহর ও চারপাশে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। এই বৌদ্ধ মন্দিরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুদ্ধমূর্তি রয়েছে।
বুদ্ধ ধাতু জাদি বান্দরবান স্বর্ণমন্দির নামে সুপরিচিত। বাংলাদেশের বান্দরবন শহরের বালাঘাটা এলাকায় এটি অবস্থিত। ধাতু বলতে কোনো পবিত্র ব্যক্তির ব্যবহৃত বস্তুকে বোঝায়। এই বৌদ্ধ মন্দিরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশে সর্বাপেক্ষা বড় হীনযান বৌদ্ধ মন্দির।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ব্যতীত অন্যান্য ভ্রমণার্থীদের টিকিটের বিনিময়ে মন্দিরটি দর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে মন্দিরের মূল অংশে অর্থাৎ যেখানে জাদিটি আছে সেখানে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। সন্ধ্যা ৬টার পরে মন্দিরে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। মন্দির চত্বরে শর্ট প্যান্ট, লুঙ্গি এবং জুতা পায়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।
বান্দরবানে বসবাসরত মারমা জাতিগোষ্ঠী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। ২০০০ সালে দক্ষিণ পূর্ব এশীয় ধাঁচে বার্মার স্থাপত্যবিদের তত্ত্বাবধানে জাদিটি নির্মিত হয়।এই পাহাড়ে একটি পুকুর আছে, নাম দেবতা পুকুর। দেবতা পুকুরটি সাড়ে ৩শত ফুট উচুতে হলে ও সব মৌসুমেই পানি থাকে।
বৌদ্ধ ভানে-দের মতে, এটা দেবতার পুকুর তাই এখানে সব সময় পানি থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হল বুদ্ধ ধাতু জাদি ক্যাং। এই জাদিটি এখন বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের তীর্থ স্থানই নয় দেশী বিদেশী পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষনীয় স্পটে পরিণত হয়েছে। এটি স্বর্ণমন্দির নামে পরিচিত পেলেও এটি স্বর্ণ নির্মিত নয়। মূলত সোনালী রঙের জন্যেই এটির নাম হয়েছে স্বর্ণমন্দির।
বান্দরবান শহর হতে ৪ কিঃমিঃ দূরত্বে বান্দরবান-রাংগামাটি সড়কের পার্শ্বে পুরপাড়া নামক স্থানে সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় স্বর্ণ মন্দির এর অবস্থান।এ স্থানটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নিকট তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। এ মন্দির সোনালী রংয়ের এক অপূর্ব নির্মাণ শৈলী ও আধুনিক ধর্মীয় স্থাপত্য নকশার নিদর্শনস্বরুপ এ স্থানটি সবার খুবই আকর্ষনীয়।
স্বর্ণ মন্দির এ আসলে পাশাপাশি সাঙ্গু নদী, বেতার কেন্দ্রসহ বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সহজেই উপভোগ করা যায়।
বান্দরবানের উপশহর বালাঘাটাস্থ পুল পাড়া নামক স্থানে স্বর্ণমন্দির এর অবস্থান যা মহাসুখ মন্দির বা বৌদ্ধ ধাতু জাদী নামে পরিচিত। নাম স্বর্ণমন্দির হলেও এখানে স্বর্ণ দিয়ে তৈরি কোন দেব-দেবীও নেই। বান্দরবান জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। সুউচ্চ পাহাড়ের চুড়ার তৈরী সুদৃশ্য এ প্যাগোডা। এটি বুদ্ধ ধর্মালম্বীদের একটি পবিত্র তীর্থস্থান ।
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা এখানে দেখতে এবং প্রার্থনা করতে আসেন। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম এই বৌদ্ধ ধাতু জাদী কে স্বর্ণমন্দির (Golden Temple) নামাকরন করা হয়। গৌতমবুদ্ধের সমসাময়িক কালে নির্মিত বিশ্বের সেরা কয়েকটি বুদ্ধ মুর্তির মধ্যে একটি এখানে রয়েছে।
প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়। এই প্যাগোডাটি দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার সেরা গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই সুউচ্চপাহাড়ের উপর দেবতা পুকুর নামে একটি পানি সম্বলিত ছোট পুকুর আছে। বর্তমানে স্বর্ণমন্দির উপাশনালয়টি বান্দরবান জেলার একটি অন্যতম পর্যটন স্পট হিসাবে পরিগনিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম থেকে কেরনীহাট হয়ে যেতে হয়।বান্দরবানে যাতায়াত ব্যবস্হা ভালো এবং থাকার জন্য উন্নতমানের হোটেল রয়েছে।পূরবী হচ্ছে বান্দরবানের বাস।তবে স্হানীয় গাইড লাইন হলে সুবিধা বেশি হয়।একসাথে আশেপাশের অনেক স্হান ঘুরে দেখা যায়।
চেষ্টা করছি কয়েকটা হোটেলের নাম ঠিকানা দেয়ার জন্য।
হোটেলে/ রিসোর্টের/ মোটেলের ওয়েবসাইট/ইমেইল/ফেসবুকের যোগাযোগের ঠিকানাঃ
**হোটেল হিল কুইন
ফেইসবুকঃ
www.facebook.com/
HOTEL-HILL-QUEEN
** নীলাচল নীলাম্বরী রিসোর্ট
ফেইসবুকঃ
www.facebook.com/Nilachal-Nilambori-Resort
**হোটেল হিলটন অফিসার্স ক্লাব।
সাইরু হিল রিসোর্টবড় মাইল, চিম্বুক রোড, উয়াই জংশন,
www.sairuresort.com
ফেইসবুকঃ
www.facebook.com
**হোটেল নাইট হেভেনতালুকদার পাড়া, মেঘলা পর্যটন এরিয়া, বান্দরবান
ওয়েবসাইটঃ
www.hotelnightheaven.com
ফেইসবুক: www..facebook.com/
hotelnightheavenbd
ইমেইল: nightheaven365@gmail.com
**হোটেল ফোর স্টারশৈল প্রপাতের কাছে।
হোটেল গ্রীনল্যান্ডহেড পোস্ট অফিসের কাছে, চিম্বুক রোড।
ফেইসবুকঃ
www.facebook.com/
greenland.bandarban
পর্যটন মোটেলমেঘলা,
**হোটেল রিভার ভিউসড়ক ও জনপদ রোড,
ওয়েবসাইট:
www.hotelriverviewbandarban.com
**ফরেস্ট হিল রিসোর্ট রুমা রোড, মিলনছড়ি, ওয়েবসাইট:
www.foresthillresortbd.com
ইমেইলঃinfo@fresort.com
**বন নিবাস হিল রিসোর্টথানচি রোড,
ওয়েবসাইট:
www.bandarbanbononibas.com
**হোটেল হিল
রাহাত সোলতানা
স্বত্বাধিকারী-অভিরুচি বুটিকস