মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন সম্প্রতি ইলন মাস্কের বিভিন্ন কোম্পানিতে থাকা তাঁর ব্যক্তিগত শেয়ার বিক্রি করার জন্য উপদেষ্টাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। ইলন মাস্কের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল, এমন কথা জানার পর এ নির্দেশ দেন তিনি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে খবর এনডিটিভির।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানেন, এমন সূত্রের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ককে গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে মায়ামিতে সের্গেই ব্রিনের স্ত্রী নিকোল সানাহানের সঙ্গে দেখা যায়। এর জেরেই ইলন মাস্কের (৫১) সঙ্গে সের্গেই ব্রিনের (৪৮) দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বের অবসান ঘটে। পরে জানুয়ারিতে সানাহানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন ব্রিন। ২০০৮ সালের মন্দার সময় ব্রিন টেসলাকে সাহায্য করেছিলেন।
দৈনিকটি জানিয়েছে, ডিসেম্বরে মাস্কের সঙ্গে সানাহানকে মায়ামির আর্ট ব্যাসেলে দেখা গিয়েছিল। পরে এক অনুষ্ঠানে এর জন্য ব্রিনের কাছে ক্ষমাও চান মাস্ক।
বর্তমানে বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর করা নিয়ে সের্গেই ব্রিন ও সানাহানের আলোচনা চলছে। বিবাহবিচ্ছেদের জন্য ১০০ কোটি ডলার চেয়েছেন ব্রিনের স্ত্রী সানাহান।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, তবে মাস্কের কোম্পানিতে ব্রিনের ব্যক্তিগত বিনিয়োগ কত তা জানা যায়নি। ব্রিন সেসব শেয়ার বিক্রি করেছেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ২৪ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছেন সের্গেই ব্রিন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার।
ইলন মাস্কের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একের পর এক নতুন যেসব তথ্য জানা যাচ্ছে, তার সর্বশেষ উদাহরণ বন্ধু ব্রিনের বন্ধুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। এ বছরের শুরুতে জানা যায়, ইলন মাস্কের সঙ্গে তাঁর প্রতিষ্ঠিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান নিউরোলিংকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সম্পর্ক ছিল এবং তাঁদের যমজ সন্তান আছে।
ইলন মাস্কের আরেক কোম্পানি স্পেসএক্সের একজন কর্মীকে আড়াই লাখ ডলার দিয়ে একটি অভিযোগের মীমাংসা করা হয়। ওই কর্মী দাবি করেছিলেন, ২০১৬ সালে ইলন মাস্কের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তিনি। তবে মাস্ক এমন অভিযোগকে সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করেন। তিনি একই সঙ্গে পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, টুইটার কেনা নিয়ে ঝামেলা করতে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। মাস্ক টুইটার কেনার চুক্তি থেকে সরে এসেছেন। এ নিয়ে মামলাও করেছে টুইটার।