সাম্প্রতিক সময়ে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি হাম্পব্যাক তিমির সাথে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছেন। যাকে কিনা একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
মূলত গত ২০২২ সাল থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ডেভিস এন্ড আলাস্কা হোয়েল ফাউন্ডেশন পরিচালিত হোয়েল-এসইটিআই (সার্চ ফর এক্সট্রা টেরিস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এর একদল বিজ্ঞানী এই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নতুন এই পরীক্ষামূলক গবেষণায় প্রথম বারের মতো এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি হাম্পব্যাক তিমির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে সক্ষম হন।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী হিসেবে পরিচিত তিমির সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিমিদের নিজস্ব ভাষা বা শব্দ ব্যবহার করেন বিজ্ঞানীরা। এ জন্য তাঁরা আগে থেকেই এক দল হাম্পব্যাক তিমিদের মধ্যে ‘কথোপকথন’ কিংবা যোগাযোগের সংকেত রেকর্ড করে রাখেন। সেই রেকর্ডকৃত শব্দ বা কথোপকথন ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা ‘টোয়াইন’ নামের একটি হাম্পব্যাক তিমির সাথে ২০ মিনিট ব্যাপী কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন।
তবে অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হলো যে, এই হাম্পব্যাক তিমিটি কিন্তু রীতিমতো অবাক করে দিয়ে গবেষকদের ডাকে সারা দিতে থাকে এবং সাগরের বুকে ভেসে থাকা বিজ্ঞানীদের জাহাজের আশেপাশে ঘুরতে থাকে। আর নতুন এই পরীক্ষামূলক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা রীতিমতো হতবাক হয়ে যান।
তিমির সাথে এই নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন অদূর ভবিষ্যতে হয়ত সকল প্রাণীর ভাষা বা যোগাযোগের সংকেত বুঝতে সহায়তা করবে। যা ভবিষ্যতে হয়ত অন্যান্য বিলুপ্ত প্রায় প্রাণী সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।