চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ করেই ফিরতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। শুরুটা জয় দিয়ে হলেও শেষটা হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে হেরে। শেষ চারে খেলার আশা নিয়ে ইংল্যান্ড গেলেও বাংলাদেশ বিশ্বকাপ শেষ করেছে সাত নম্বরে থেকে। কিন্তু শেষ দুটি ম্যাচ ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের জয় না পাওয়াকে খুব ভালোভাবে নেননি ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থকরা। বিশেষ করে গত শুক্রবার পাকিস্তানের সঙ্গে ২২১ রানে অল আউট হয়ে যাওয়াকে কেউ ভালোভাবে দেখছে না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।
পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন নিঝুম মজুমদার নামের এক দর্শক। এক লাইভে তার বক্তব্য নিয়েছেন জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক সাংবাদিক। দৈনিক আমাদের সময় অনলাইন পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো-
https://www.facebook.com/dw.bengali/videos/2063617107267425/
সাংবাদিক : কেমন আছেন আপনি?
দর্শক : খুবই খারাপ
সাংবাদিক : এই যে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স এক কথায় সংক্ষেপে যদি বলতে হয়-তাহলে কী বলবেন?
দর্শক : জঘন্য, এর থেকে ফালতু আর হতে পারে না।
সাংবাদিক : কেন?
দর্শক : এটা কোনো খেলা হলো? দলের মধ্যে আমি কোনো ধরনের কম্বিনেশন দেখি না। এই ভালো খেলে তো, এই খারাপ খেলে। এটা কোনো ম্যাচ হয় না আসলে। এভাবে খেলতে আসা থেকে না আসাটাই বেটার।
আপনি দেখেন, লাস্ট ম্যাচ ইন্ডিয়ার সাথে দেখেন, আজকের খেলাটা দেখেন। কোনো ধরনের জেতার কোনো স্পৃহাই নেই। আমরা এতগুলো মানুষ এখানে আসছি। আমাদের কথাও চিন্তা করা উচিত, সব কিছু মিলে আমি খুবই হতাশ।
সাংবাদিক : বাংলাদেশ দলে কী ধরনের পরিবর্তন আনা উচিত বলে আপানার মনে হয় ভবিষ্যতে?
দর্শক : বাংলাদেশ দলের পরিবর্তনের দরকার নেই তো। প্রত্যেকটি প্লেয়ার প্রতিষ্ঠিত প্লেয়ার। প্রত্যেকটা প্লেয়ার ভালো প্লেয়ার। আপনি কাকে ছেড়ে কাকে বাদ দিবেন।
সাংবাদিক : তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
দর্শক : সমস্যাটা হচ্ছে যে পারফরম্যান্স করছে না। তামিমের কথা চিন্তা করেন, তামিমের মতো একটা প্লেয়ার আজকে প্রায় ৮-৯টা ম্যাচ হলো ১০ রান ১২ করার মতো প্লেয়ার সে?
তারপর সৌম্যের কথা ধরেন। সৌম্যকে নামানো হয় কীসের জন্য। ১০-১৫ রান করার জন্য? ও যদি নিজের ওজনটা না বোঝে তাহলে ওর ভবিষ্যৎ হবে অতীতে যারা বাদ হয়ে গেছে তাদের মতো চলে যেতে হবে। কারণ, এত পাওয়ার সৌমের হাতে, এই লেভেল পাওয়ার। একটা ছেলে ১০-১৫ রান করে, তা হতে পারে না আসলে।
সাংবাদিক : সেক্ষেত্রে আপনার কী মনে হয় নেতৃত্বে কোনো ঘাটতি আছে কি?
দর্শক : নেতৃত্বের তো কোনো ঘাটতি আমি দেখি না। আমার কাছে এটা মনে হয়েছে যে, ইন্টারনাল কোনো প্রবলেম আছে। কোনো সিরিয়াস ধরনের প্রবলেম আছে। সেই বিষয়ে না বলি, যেহেতু আপনারা লাইভ করছেন।
সাংবাদিক : আপনি আপনার মতামত দিতে পারেন।
দর্শক : আমার কাছে যেটা ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় যেমন, আমি একটা উদাহরণ দিয়ে আপনাকে বলি। যখন সাকিব সেঞ্চুরি করলো, ওই ম্যাচে মাশরাফী বলছে যে, আজকের খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে মোস্তাফিজের একটা বল। অথচ সাকিব কিন্তু সেঞ্চুরি করল। তো বোঝাই যাচ্ছে যে মাশরাফীর সঙ্গে সাকিবের একটা ভালো রকমের ক্যাচাল চলছে।
সাংবাদিক : সেটা আপনি মনে করছেন?
দর্শক : হ্যাঁ, আমি মনে করছি। দেখা যাচ্ছে যে জার্সির জন্য সে (সাকিব) ছবি তুলতে আসল না-এটা নিয়ে তামিম- মাশরাফীর সঙ্গে তার একটা ঝামেলা হয়েছে। এটা বোঝাই যায় তাদের কথাবার্তা শুনে। যেমন আবার সাকিবের ওয়াইফ একটা স্ট্যাটাস দিলো-এগুলো খুব ইন্টারনাল-এটা বুঝতে পারি আমরা দর্শকরা। এর প্রভাব কিন্তু মাঠে পড়ে। ওরা যদি মনে করে আমরা খুব বোকা, আমরা বোকা না আসলে। আমরা বুঝি এবং খবর রাখি।
আমার মনে হয় দল হওয়া উচিত ইন্ডিয়ার মতো। একটা গুণ্ডা থাকবে মাঠের মধ্যে সবাই তার কথা শুনবে-সেটা হচ্ছে বিরাট কোহলির মতো। মাস্তান একটাই ১১ জন তার পেছনে থাকবে। দ্যাটস ইট-এটাই হচ্ছে খেলা।
সাংবাদিক : আপনার কাছে তাহলে কী মনে হয়, বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে কার আসা উচিত?
দর্শক : নেতৃত্ব কার না, আপনাকে মানতে হবে। মেহেদি মিরাজও যদি ক্যাপ্টেন হয় মানতে হবে ওকে। দল তার অনুগত থাকবে। তার ব্যক্তিগত সমস্যা মাঠে আনবে না। শেষ, সিম্পল।