সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক বিশ্বের প্রথম ব্লকচেইন স্মার্টফোন আসছে বাংলাদেশে। ‘ফিনি’ নামের এই ফোনটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও নিরাপদ ফোন হিসেবেও অবহিত করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে এই ফোনটি আমদানি করার জন্য ২৭ আগস্ট ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
আগামী অক্টোবর মাসে দেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে ফোনটি উন্মোচন করতে পারে ইনডেক্স নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
২০১৮ সালের অক্টোবরে সুইজারল্যান্ডের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতা সিরিন ল্যাবস ‘ফিনি’ নামে ডুয়াল স্ক্রিন নকশার স্মার্টফোনটি বাজারে নিয়ে আসে।
ফোনটির বিশেষত্ব হচ্ছে ব্লকচেইন প্রযুক্তি। স্মার্টফোনটির ওয়ালেট হার্ডওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেছে কুইন্সল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান।
ফোনের নকশা ও উৎপাদনের কাজ করেছে চীনাভিত্তিক বিশ্বের সর্ববৃহৎ চুক্তিভিত্তিক স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপ। মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপলের আইফোন, সনির ভিডিও গেম কনসোল প্লেস্টেশন ও অ্যামাজনের কিন্ডল সিরিজের ডিভাইস সংযোজন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যদিকে নিরাপত্তা ফিচারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সোলারিন মোবাইল ফোন উন্মোচন করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সিরিন ল্যাবস।
আইএএনএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিনি হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ব্লকচেইনভিত্তিক স্মার্টফোন। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট জেডডিনেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড ৮.১-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি সিরিন ওস-ভিত্তিক ফোনটিতে দুই ইঞ্চি স্লাইডার ‘সেফ স্ক্রিন’ রয়েছে।
এতে ইন্ট্রুসন প্রোটেকশন সিস্টেম (আইপিএস) রয়েছে। এর বাইরে নিরাপদ যোগাযোগ, একাধিক কাজের সক্ষমতা, ক্রিপটোওয়ালেট এবং গুগল প্লে স্টোরের পাশাপাশি ডিসেন্ট্রালাইজ অ্যাপ্লিকেশন (ডিঅ্যাপ) সুবিধা থাকছে।
ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে সাম্প্রতিক সময়ের এক অভিনব উদ্ভাবন বলা হচ্ছে। ব্লকচেইন হলো তথ্য সংরক্ষণের নিরাপদ ও উন্মুক্ত পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি চেইন আকারে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।
‘সাতোশি নাকামতো’ ছদ্মনামের এক বা একাধিক ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠী ব্লকচেইন প্রযুক্তির উদ্ভাবক বলে মনে করা হয়। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো বিটকয়েন সফটওয়্যার প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে ব্লকচেইন প্রযুক্তির বিবর্তন ঘটে চলছে।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুর সরকার সে দেশের অর্থ লেনদেন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্লকচেইন ছাড়া লেনদেন করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, আগামীতে বিশ্বজুড়ে ডাটা নিরাপত্তার জন্য সকল দেশেই ক্রমান্বয়ে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠবে। ফলে নতুন ধারার এই স্মার্টফোনটি বাজারও দ্রুত বড় হবে।